বিচার হওয়া উচিত খালেদার

0
56
ফাইল ছবি

মানুষ পোড়ানোর দায়ে খালেদার বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে তিনি (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) সরকার উৎখাত করবেন, এটি চেয়েছিলেন। কিন্তু পারলেন না। পরে ঠিকই ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে তিনি কোর্টে হাজিরা দিতে গেলেন।

শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট এক হয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, নির্বাচনের সময়ও মানুষ পুড়িয়েছে তারা। আর আন্দোলনের (২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে) সময় খালেদা বলেছিলেন- সরকারের পতন না ঘটিয়ে তিনি ঘরে ফিরবেন না।

তিনি বলেন, মানুষ পোড়ানোর দায়ে খালেদার বিচার হওয়া উচিত। মানুষ পুড়িয়ে তিনি সরকার উৎখাত করবেন, কিন্তু পারলেন না। পরে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে গেলেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের বাঁচানোর জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এদিকে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধীরা যে অপরাধ করেছিল, একই অপরাধ ২০১৫ সালে বিএনপি করেছে।

‘তার আগে তারা নির্বাচনে যায়নি। পরে ভুল ঠিক বুঝেছে। পৌর নির্বাচনে তাদের সুমতি হয়েছে’।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য যে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটাই চাওয়া বাংলাদেশ উন্নত হবে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের রোল মডেল এই দেশ, এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন।

এর আগে, বেলা ১১টা ৫১ মিনিটে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এর আগে টুঙ্গীপাড়ায় শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কের উদ্বোধন করেন তিনি।

তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, সংসদ সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতা লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ। তারও আগে, প্রধানমন্ত্রী সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে টুঙ্গীপাড়ায় পৌঁছান।