‘বিজয় না হওয়া পর্যন্ত গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে’

0
61

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ড জড়িত সংসদে মন্ত্রী-এমপিদের এই অভিযোগকে কল্পকাহিনী হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। বলেছেন, অনির্বাচিত সদস্যদের বৈকালিন আড্ডায় ‘বিকাশ মার্কা’ এমপি’দের অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্রের অপহরণ বিষয়ক কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বিএনপি হাইকমান্ড জড়িত বলে নানা চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে। আমরা এজাতীয় বালখিল্যপণার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এজাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতাসুলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি নির্দেশে গুপ্তঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বত্র লাশের গন্ধ, যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের গুলিবিদ্ধ লাশ। ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পেটোয়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্তাব্যক্তিরা খুনের উল্লাসে মেতে উঠেছে। জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ক্ষমতার উত্তাপে নির্বিকার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্রের বদলে ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবাস্তব নীল-নকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র ইতিপূর্বে বাকশাল প্রণয়নের মাধ্যমেও সফল হয়নি; এখনও হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে কন্যা হিসেবে পিতার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য পূণর্বার আহবান জানাচ্ছি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সর্বজন স্বীকৃত ঘৃণ্য স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও প্রধানমন্ত্রীকে তার চাইতে বড় স্বৈরাচারের সনদ প্রদান করলেন। গৃহপালিত বিরোধী দলের আসনে বসলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে পতাকা উড়িয়ে বেড়ান। তিনি ৫ই জানুয়ারির বিনাভোটের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও তাকে জোরপূর্বক ধরে এনে সংসদ সদস্যের শপথ পাঠ করানো হয় এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দূত বানানো হয়েছে। হত্যার রাজনীতিতে পারদর্শিতার কারণে শেখ হাসিনার এই সনদপ্রাপ্তি ও স্বীকৃতি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিরূপণে সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলকে সহায়তা করতে পারে। সালাহউদ্দিন বলেন, শাসকচক্রের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সংগ্রাম প্রকৃত বিচারে জনগণের ক্ষমতায়নের একমাত্র এবং সর্বশেষ অবলম্বন হিসাবেই এখন দেশের সকল মানুষের কাছে বিবেচিত। দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে এই গণআন্দোলনের বিজয়ের কোন বিকল্প নেই। প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনীসহ জাতীয় সনদ রচনার লক্ষ্যে গড়ে উঠা জাতীয় ঐকমত্যকে অগ্রগণ্য করে জাতীয় মুক্তির এই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি। দিনে দিনে জনতার রক্তদানে বলিষ্ঠ রক্তঝরা এই সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়াবেই ইনশাআল্লাহ। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তির এই গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে।