বিপর্যস্ত দেশ, সহিংসতায় নিহত ৫

0
93

ঝিনাইদহে পুলিশের গুলিতে নিহত শিবির কর্মী ইসরাইল হোসেনব্যাপক সহিংসতা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে পালিত হলো দ্বিতীয় দফা বিরোধী জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন। হঠাৎ অবরোধ ডাকায় দিনভর পথে পথে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অবরোধের টানা ৭১ ঘণ্টা অবরোধ শেষ হতে না হতেই ফের টানা অবরোধের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা। সহিংস ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন এলাকায়। হামলা হয়েছে সরকার দলীয় এমপির গাড়ি বহরে। পুলিশের গাড়ি ও নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনায় সারা দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঝিনাইদহে পুলিশের গুলিতে এক শিবির কর্মী মারা গেছেন। বগুড়ায় অবরোধকারীদের ধাওয়ায় ট্রাক থেকে পড়ে গিয়ে এক যুবক নিহত হন। ঈশ্বরদীতে অবরোধীকারীদের ওপর ট্রাক উঠিয়ে দিলে যুবদল নেতা ছইমুদ্দিন নিহত হন। রাতে রাজধানীর মালিবাগে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক বাসযাত্রী মারা গেছেন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পিকেটারদের ধাওয়ায় পিকআপ উল্টে এক পথচারী নিহত হন।
বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে আগুন দিয়ে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অবরোধীকারী। সীতকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে রেল সেতুতে আগুন দিলে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ঢিলে এক ট্রেন চালক আহত হন। এদিকে বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর। সরকারি ও বিরোধী দলের কার্যালয়েও পাল্টাপাল্টি হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধা ও নাটোরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ওপর হামলা চালিয়েছে অবরোধকারীরা। গাজীপুরে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও বগুড়ায় নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। বড় ধরনের সংঘর্ষ হয় চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, ঝিনাইদহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, ঈশ্বরদী, সিলেট, চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, সীতাকুণ্ডসহ অন্তত ২০ জেলায়। এদিকে রিজভী আহমেদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে এবং পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ হরতাল আহ্বান করা হয়েছে ঝিনাইদহ, ফেনী, রামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও রংপুর জেলায়। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অবরোধের প্রথম দিন ঝিনাইদহে পুলিশের গুলিতে ইসরাইল হোসেন নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছে।
চকরিয়ায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের গুলিতে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জাকের হোসেন নিহত হন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মতিঝিলে থানা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুকসহ ১৫ জন গুলিবিদ্ধ, বংশাল থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেন্টুসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ, ওয়ারীতে যুবদলের সভাপতি মাকসুদসহ ৯ জন গুলিবিদ্ধ, সবুজবাগে থানা যুবদলের সভাপতি মাসুদসহ ১৫ জন, নোয়াখালীতে ৭০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ, মেহেরপুরে বিএনপি নেতা আমজাদ মাষ্টার, হাসান মন্ডলসহ ১২ জন, চট্টগ্রামে ৪০ জন নেতাকর্মী আহত, ঝিনাইদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এমদাদ হোসেনসহ ৫০ জন, গাইবান্ধায় ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জে আব্দুল্লাহ, নজরুল ইসলাম, জামাল সহ ১২ জন গুলিবিদ্ধ, পটুয়াখালীতে বিএনপির জেলা প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা রতন, আরিফ, বসির, জাকির, বিএনপি নেতা মালেক, ছাত্রদল নেতা মোহন, রুবেল, মতি, মহিলা নেত্রী রুমা, শিমাসহ ৫০ জনসহ ৩৩৭ জন আহত হয়েছে। অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করলে নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা ফারুক, বাবু, রাব্বী, জালাল সহ ৩৫ জন, চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা প্রচার সম্পাদক রুবেল, সুমন সহ ১৫ জন, সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক পাবেল আহমেদসহ ১২ জন, নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক ফয়সাল আলম, আবুল, কমিশনার ভিপি ফরহাদ সহ ৩০ জন, চাঁদপুরে যুবদল নেতা আব্দুল্লাহসহ ২৫ জন, জামালপুরে যুবদল নেতা মুসলিম, আরিফ, রাজ্জাক, বাবু, রিপনসহ ১৮ জন, চট্টগ্রামে ২০ জন, ঝিনাইদহে বিএনপি নেতা জুলফিকার, রিপন, আবুল হোসেনসহ পুলিশ ১৮ জন, মাগুরায় যুবদল নেতা মিনহাজ, সুমন, ছাত্রদল নেতা অভিসহ ১৭ জন, গাইবান্ধায় যুবদল নেতা শামিম, সামিউলসহ ৭ জন, খুলনায় বিএনপি নেতা সাজ্জাদ আহসান পরাগসহ ৭ জন, গাজীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাবু দাস, মিজানুর রহমান, হাফিজ, আরমানসহ ১০ জন, মানিকগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইদুর রহমানসহ ৭ জনসহ ২৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা পুলিশ। এছাড়া বিরোধী দলের ৫ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর আদালতের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতা খালেদ হাছান সোহেল, সম্রাট মোল্লা, বিপ্লব, আনিসুর রহমান খান ও মিঠুকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ গাড়িতে করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানা এবং ডিবি কার্যালয়ে খোঁজ নিলেও তাদের কোন সন্ধান মেলেনি।
এদিকে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিটি অলিগলিতে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের। রাতভর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে টহল দিয়েছে বিজিবি। জলকামান ও রায়ট কার নিয়ে পুলিশ টহল দেয় রাজপথে। আতঙ্কিত মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি।
রাজধানীর চিত্র
বিরোধী জোটের দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ, শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পুরান ঢাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় এক দোকান কর্মচারী আহত হয়েছেন। বাড্ডার নতুন বাজার, যাত্রাবাড়ী, কাজলাসহ বেশ কটি সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে শিবির কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে অবরোধ চলাকালে গাবতলী এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে শ্যামলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধের বিরোধী বিরোধী মিছিল করে আদাবর থানা ছাত্রলীগ। সকাল নয়টায় পান্থপথ স্কয়ার হাসপাতালের সামনে ঢাকা কলেজ ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির কর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে শিবির কর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং শিবির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে শিবিরের কর্মীরা সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৬ জন শিবির কর্মী আহত হন। পুলিশ শিবিরের দুই কর্মীকে আটক করেছে। একই সময়ে বাড্ডা নতুন বাজার এলাকায় মিছিল করে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার জামায়াত-শিবির। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উত্তর শাখা শিবির কর্মীরা বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করে। একই সময়ে যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও নয়াবাজারে অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ঝটিকা মিছিল করে অবরোধকারীরা। সকাল আটটার দিকে নয়াবাজার মোড়ে কোতোয়ালি থানা শিবিরকর্মীরা রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করে। সকাল সাড়ে ১০টায় মগবাজার রেলগেট এলাকায় জামায়াত কর্মীরা সড়কে আগুন দিয়ে অবরোধ, ওয়্যারলেস রেলগেট, চৌরাস্তা ও হাতিরঝিল এলাকায় পিকেটিং করে জামায়াত-শিবির। দুপুর দুইটার দিকে বংশাল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ককটেলের আঘাতে আবির (১৮) নামের এক পথচারী আহত হন। বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূর্য্যসেন হলের পিছন থেকে চারটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। সন্ধ্যায় গাবতলী টেকনিক্যাল পুলিশ বক্সের সামনে তিনটি ককটেল, বনানী ইকবাল সেন্টারের সামনে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া আদাবর রিংরোডে সন্ধ্যায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেয় অবরোধকারীরা।
রাজধানীতে ফের বাসে পেট্রোল বোমা, নিহত ১
রাজধানীতে একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ছুড়ে মারার ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হাবিবুর রহমান রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা। গতকাল রাত সোয়া ৮টায় মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে এডভোকেট গোলাম কিবরিয়ার অবস্থা গুরুতর। আহতরা হলেন- বাসের হেলপার মনির হোসেন, বাসযাত্রী এহসানুল হাসান, রেজাউল করিম। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও মেডিকেল সূত্র জানান, দুর্বৃত্তরা বাসে পেট্রল বোমা ছুড়ে মারলে বাসে আগুন ধরে যায়। এ সময় বাস চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় আইল্যান্ডে উঠে যায়। বাসে আগুন জ্বলতে দেখে পথচারীরা সেখানে ছুটে যান। এ সময়ে তারা দেখতে পান হাবিবুর রহমান ছটফট করছে এবং অন্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়ায় পিকেটারের ঢিলে যুবক নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, বগুড়ার মোকামতলায় অবরোধকারীদের ঢিলে ট্রাক থেকে পড়ে এক যুবক (৩৫) নিহত হয়েছেন। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। সূত্র জানায়, বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ প্রোটেকশনে যানবাহন পার করে দেয়ার সময় উপজেলার মোকামতলার পাকুরতলা এলাকায় অবরোধকারীরা ধাওয়া করে। এ সময় তারা ঢিল ছুড়লে ট্রাকে থাকা ওই ব্যক্তি আঘাত পেয়ে নিচে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এদিকে একই সময় চৌকিরহাট এলাকায় বাসের নিচে চাপা পড়ে সাইকেল আরোহী এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
কোটচাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে শিবিরকর্মী নিহত, আজ হরতাল
ঝিনাইদহ ও কোটচাঁপুর প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে ইসরাইল হোসেন (২০) নামে এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় ইমদাদুল ইসলাম ইমতিয়াজ নামে এক বিএনপিকর্মী গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহত শিবির কর্মী ইসরাইল উপজেলার হরিনদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। এদিকে শিবির কর্মী হত্যার প্রতিবাদে আজ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহবান করা করেছে ১৮ দলীয় জোট। সূত্র জানায়, সকাল ১০টার দিকে রাস্তা অবরোধের সময় পুলিশ অবরোধকারীদের সরে যেতে বললে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় অবরোধকারীদের বাধার মুখে পুলিশ পিছু হটে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চাপ সৃষ্টি করে। এ সময় আবারও সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার পর পুলিশ গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমপক্ষে ১৫ রাউন্ড শট গানের গুলিবর্ষণ করে। এ সময় শিবির কর্মী ইসরাইল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর শহরে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অবরোধকারীদের ওপর ট্রাক, যুবদল নেতা নিহত
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: ঈশ্বরদীতে অবরোধকারীদের ওপর ট্রাক উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলে এক যুবদল নেতা ছইমুদ্দিন নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈশ্বরদীর কাটুয়া-দাসরী মহাসড়কের মুন্নার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ দলের নেতাকর্মীরা ওই সময় রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছিল। এ ট্রাকটি ওই সময় অবরোধকারীদের ওপর তুলে দিলে ছলিমপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ছইমুদ্দিন ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা যান। এসময় আরও ৬ জন আহত হন। এ ঘটনার পর অবরোধকারীরা ধাওয়া করলে ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
এদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া প্রতিনিধি জানান, কেরানীহাটের আন্ধারমা নামক স্থানে গতরাত সাড়ে আটটায় অবরোধকারীদের ধাওয়ায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারি নিতাই চন্দ্র নাথকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতের বাড়ি চট্টগ্রামের দক্ষিণ পটিয়ায়।