বিশ্বকাপের সময় সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলাই ভালো

0
276

ক্রিকেট তথা যেকোনো ধরনের খেলাধুলায় সমর্থকদের ব্যাপারে খুবই প্রচলিত একটি কথা- মাঠে খেলেন খেলোয়াড়রা এবং মাঠের বাইরে খেলেন সমর্থকেরা। কথাটি পুরোপুরি সত্য। আগে যেমন শুধু গ্যালারিতেই চলতো সমর্থকদের কথার লড়াই, এখন সেটি স্থানান্তরিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব আলোচনায় প্রত্যক্ষভাবেই জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। প্রায়ই দেখা যায় বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন তারকা ক্রিকেটাররা। যেখানে ভক্তদের সঙ্গে কাটান কিছু সময়, তাদের উপহার দেন স্মরণীয় সব মুহূর্ত।

কিন্তু তাই বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যে শুধু ইতিবাচক দিকই রয়েছে তা কিন্তু নয়। ফেসবুক তথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো খেললে যেমন মেলে প্রশংসা ও স্তুতিবাক্য, তেমনি ফলাফল পক্ষে না এলে ক্রিকেটারদের ধুয়ে দিতেও ছাড়েন না সমর্থকরা।

বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার আভাস পেলেই বেশি সরব হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করা হয় তাদের। আর এসবে একটিভ থাকায় সব সমালোচনা স্বচক্ষেই দেখে থাকেন ক্রিকেটাররা। যে কারণে তাদের মনোজগতেও পড়ে বিস্তর প্রভাব।

তাই বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য পরামর্শ রেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি যত কম নজর দেয়া যায়। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যে টিম রুলস জারি করা হবে- তা অবশ্য বলেননি মাশরাফি।

আজ (সোমবার) বিশ্বকাপের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের ভালো কিংবা খারাপ ক্রিকেট খেলতে কখনো সাহায্য করবে না বা প্রভাব ফেলবে না। বিশেষভাবে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা যদি বলি, আমার কাছে মনে হয় এটার দিকে নজর না দেয়াই ভালো হবে।’

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করাটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘এটা আবার যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো আমি আছি। কিন্তু এটা আমাকে ইফেক্ট করে না। আমি জানি সাকিবকেও করে না। অন্য কাউকে করতে পারে। যাকে করে সেটা তার বুঝতে হবে। এটার জন্য টিম রুলস জারি করার কিছু নেই। এটা ব্যক্তিগত বিষয়। যেহেতু সমস্যা তৈরি করে তাই এটার থেকে ‍দূরে থাকতে পারলে ভালো। দুইটা মাস টোটাল মনোযোগ বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক থাকা ভালো হবে। আমাদের দল ও দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।’