বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত

0
56

বিশ্ববিদ্যালয় লগোবেতন কাঠামোর অসঙ্গতি নিয়ে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ওই উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বলে আসছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সিলেকশন গ্রেড বহাল, গ্রেড সমস্যা নিরসন ও পৃথক বেতন স্কেলের দাবিতে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

এতে ৭ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল হয়ে আছে। ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এমন আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছি। আবার শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি। শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে সরকারকে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। নতুবা পরিস্থিতি উল্টো দিকে গড়াতে পারে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি খবির উদ্দিন বলেন, আমরা সরকারকে দীর্ঘ ৮ মাস সময় দিয়েছি। কিন্তু তারপরও তারা কোনো সমাধানে আসতে পারেননি। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট করাসহ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যাতে করে এখানে আসতে না পারে সেইজন্য সরকার একটি গভীর চক্রান্ত হাতে নিয়েছে। এই আন্দোলন শুধু আমাদের ব্যক্তিস্বার্থে না পুরো জাতির স্বার্থে।

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো পুনঃসংশোধনের দাবিতে চলা এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ায় ভুক্তভোগিরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষক নেতাদের দাবি, অধ্যাপকদের মধ্য থেকে গ্রহণযোগ্যসংখ্যক একটি অংশকে হলেও জ্যেষ্ঠ সচিবদের সমান বেতন স্কেল দিতে হবে। না হলে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না।