বিশ্বের ১২০ দেশে বেড়েছে পাটের চাহিদা

0
93

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। বর্ধিত চাহিদা অনুযায়ী খাতটিতে গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমিয়ে আনলে এ খাতের পরিধি ও আয় আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

পাট রফতানিকারকদের সংগঠন জুট এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, বাংলাদেশের পাটের বর্ধিত চাহিদা অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫টি দেশের বাইরেও কোরিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ১২০টি দেশে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এর সঙ্গে বিশ্ববাজারে ৫০০ বিলিয়ন পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। তাই পাটজাত শপিং ব্যাগ রফতানিতে আমাদের ভালো সুযোগ রয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ১০২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৯৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার। তবে ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমিয়ে আনা গেলে এ খাতকে আরও ভালো অবস্থানে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, পাটপণ্য পরিবেশবান্ধব হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিশ্বে এর চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যে পরিমাণ চাহিদা আসছে তা পূরণ করতে পারছি না।

ইপিবি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তার বিপরীতে আয় হয় ১০২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এ সময় কাঁচাপাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। পাট সুতা ও কুণ্ডলী রফতানিতে আয় হয়েছে ৬৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি হয়েছে ১২ কোটি ২৮ লাখ ডলারের এবং পাটজাত অন্যান্য পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।