বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের আঘাতে গ্রামীণ সড়ক ক্ষতবিক্ষত

0
98

শ্রাবণের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের তীব্রতায় উখিয়ার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক উপ-সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির কারণে জনজীবন নেমে এসেছে নানা সংকট, সমস্যা, দূর্ভোগ। বিশেষ করে পালংখালী থেকে মনখালী ও থাইংখালী থেকে তেলখোলা মোছার খোলা সড়কের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক আকারে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ায় এসব এলাকার ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা ব্যাহত, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণকে আর্থিক দূরবস্থার সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব এলাকার হতদরিদ্র, নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর স্বচ্ছলতা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে থাইংখালী থেকে তেলখোলা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কটি কার্পেটিংয়ের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় জনসাধারণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, খাল ছড়া, পাহাড় বেষ্টিত জনপদ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দৃশ্যমান খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে পুনঃখননের আওতায় না আনার কারণে খালের গভীরতা হ্রাস পেয়ে পানি নিষ্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে এ উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যা ও জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়ে সহায়সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের অভিযোগ।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের থাইংখালী স্টেশন সংলগ্ন ৬০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজটি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের ¯্রােতে অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন ব্রীজের নি¤œাংশে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও তা টেকসই না হওয়ায় যেকোন মুহুর্তে এ ব্রীজটি ধ্বসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তিনি জানান, একই ভাবে থাইংখালী থেকে তেলখোলা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির আশ্রয়স্থল তেলখোলা মোচারখোলার মানুষ এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণ, খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন, ভারী যানবাহন চলাচল, প্রভৃতি কারণে এ সড়কটির অবস্থা এখন কাহিল হয়ে পড়েছে। সড়কের ১ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হলেও ভারী বর্ষণে তাও খানা খন্দকে একাকার হয়ে পড়েছে।