বেড়িবাঁধের কাজে ধীরগতি, ঘুম নেই গোমাতলীবাসীর

0
55

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, জিও ব্যাগ পড়ে আছে বেড়িবাঁধের পাশে গত ১ মাস ধরে । বেড়িবাঁধের খুব কাছেই স্লুইচ গেইট সংলগ্ন পয়েন্ট দিয়ে জোয়ার-ভাটা আর বৃষ্টিতে বেড়িবাঁধের মাটি ধসে প্রতিদিন বাড়ছে ভাঙার পরিধি। বাঁধের পাশে খালি পড়ে আছে টেংকার। যে দুজন লোক এসব পাহারা দিচ্ছে তাদেরও নিয়মিত দেখা যায়না।
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী পাউবো বেড়িবাঁধের ৬ নং স্লুইচ ঘাটের দৃশ্য এটি। ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে এখানে কাজ শুরুর কথা ছিল গত জুন মাস থেকে । কিছু জিও-ব্যাগ খালি টেংকার ছাড়া বেড়িবাঁধে মাটি ভরাটের দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি ১ মাসেও। এখন বর্ষা মৌসুম ও বালি সংকটের অজুহাতে কাজ বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
১ মাসের মধ্যে দরপত্রের শর্তানুযায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে সন্দিহান এলাকাবাসী। বাপ-দাদার বসতভিটা, লবণ মাঠ-চিংড়ি ঘের ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার চিন্তায় ঘুম হারাম অনেকের। গোমাতলী রাজঘাট এলাকার দেলোয়ার হোসাইন জানান, দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ। সাগর উত্তাল হলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। বর্তমান সরকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আমাদের জন্য সুখবর হলেও বিগত ১৪ মাসেও দৃশ্যমান কাজ হয়নি। বর্তমানে বৃহত্তর গোমাতলী অরক্ষিত। জোয়ার ভাটায় ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় ভেঙে পানি ঢুকছে। কখন যে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা পাব? শঙ্কা প্রকাশ করলেন দেলোয়ার।