বোয়ালখালীতে জমজমাট পশুর হাট

0
80

বোয়ালখালী প্রতিনিধি:
দু’দিন পরই ঈদুল আজহা। তাই জমজমাট হয়ে উঠেছে বোয়ালখালী উপজেলার পশুর হাট। সকাল থেকে কোরবানির পশুতে ভরে উঠেছে পৌর সদরের মুরাদমুন্সির হাট। দুপুর থেকে পর ঢল নামে ক্রেতাদেরও।

মূলত লালন পালনের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে ঈদের দুই একদিন আগে যারা কোরবানির পশুর কিনেন তারাই এখন হাটে ভীড় জমিয়েছেন। ভালো দামের আশায় বিক্রেতারাও এতোদিন অপেক্ষায় ছিলেন। ফলে কোরবানির পশু কেনা-বেচার ব্যস্ততা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাথায়। কারোরই যেনো ফুরসত নেই।

তাই রোববার দুপুর থেকে সরগরম হয়ে উঠেছে পশু হাট। গরু আর খাসির আমদানিও হয়েছে প্রচুর। পিছিয়ে নেই বোয়ালখালীর উপজেলার অন্যান্য হাটগুলোও। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার দেশি মাঝারি গরু ও ছাগলের চাহিদা বেশি। এসব পশুর দামও বেশি।

তবে আশার কথা হচ্ছে এতোদিন দাম ধরে রাখলেও বর্তমান সময়ের হাটগুলোতে দাম কমাতে শুরু করেছেন বিক্রেতারা। মুরাদ মুন্সির হাটের এপ্রান্ত থেকে ওপান্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড় আর দর কষাকষি চলছে সমান তালে। এবার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশি ছোট এবং মাঝারি আকৃতির গরু।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, ঈদুল আজহার তিনদিন বাকি থাকলেও এটিই মুরাদ মুন্সির হাটের শেষ বাজার। তাই এ হাটে লোক বেশি এবং অন্যান্য হাটের তুলনায় দামও কিছুটা কম রয়েছে। দুপুর ৩টা বাজতেই জমে উঠে হাট। বিকেল গড়াতেই ক্রেতা বিক্রেতায় মুখরিত হাটের কেনা-বেচা বেড়েছে। সন্ধ্যা গড়িয়ে বেচা-কেনা চলবে গভীর রাত পর্যন্ত।

ঘরের লালন পালন করা উপজেলার পোপাদিয়া থেকে ২টি গরু নিয়ে এসেছেন আবদুল জব্বার। তার সবচেয়ে বড় গরুটির দাম ৯০ হাজার টাকা। আর ছোট গরুটির দাম ৪৫ হাজার টাকা। হাটে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি আকারের গরুই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান হাসিল আদায়কারী।

শেষ সময়ের বেচা-কেনা প্রসঙ্গে মো. খালেক জানান, বাড়িতেই তাদের গরু লালন পালন করি সারা বছর। সে গরুর বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু যতটা বাড়তি লাভ আশা করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত ততটা হচ্ছে না।

গরু বিক্রেতা আমিরুল জানান, আজ ছোট আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের গরুর দাম ৪৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বড় আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ১লক্ষ থেকে ১লক্ষ ৩০হাজার টাকায়।