বোয়ালখালীতে যাত্রীবেশে ছিনতাই: দু’টেক্সীসহ আটক ৫

0
100

ছিনতাই
বোয়ালখালী প্রতিনিধি:
বোয়ালখালীতে সিএনজি চালিত যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুয়েছেন ছগির আহমদ সওদাগর (৬৫) নামের এক ব্যবসায়ী। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দু’ টেক্সীসহ ছিনতাকারীর ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ছগির আহমদ বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালখালী থানায় মঙ্গলবার(৫জুলাই) মামলা দায়ের করেছেন। ছগির আহমদ সওদাগর মধ্যম চরণদ্বীপ মাইজপাড়া মালেক দারোগা বাড়ির মৃত গোলবক্সের ছেলে।
ছগির আহমদ জানায়, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে নগরী থেকে বাড়ি ফেরার পথে কালুঘাট থেকে সিএনজি চালিত লোকাল টেক্সীতে উঠেন তিনি। এসময় একজন মহিলা ও সিরাজ সওদাগরের ছেলেও উঠেন টেক্সীতে।
এছাড়া অজ্ঞাত দু’ ব্যক্তি টেক্সীতে উঠেন। চলতি পথে চালক ও অন্য দু’যাত্রী মোবাইলে কথা বলছিলেন। হঠাৎ চরণদ্বীপ বড়–য়া পাড়া নির্জন এলাকায় পৌঁছলে সু কৌশলে গাড়ি থামিয়ে দিলে পেছন থেকে আরেকটি সিএনজি চালিত টেক্সীর যাত্রীরা ও টেক্সীতে যাত্রী বেশে বসা ছিনতাইকারীরা মিলে জিম্মি করে ফেলেন। এসময় ছিনতাইদেও সাথে ধস্তাধস্তি করে সিরাজ সওদাগরের ছেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে মহিলা যাত্রী ও ছগির আহমদ পালাতে পারেননি। ছিনতাইকারীদের মারধরে তিনি গুরুতর আহত হন।
ছগির আহমদের কাছে থাকা ব্যবসার নগদ ৭১ হাজার ৮শত টাকা, ১টি মোবাইল ও প্রায় ২০হাজার টাকার ঈদের কাপড় ছোপড় নিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। মহিলার কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় বলে জানান তিনি।
এসময় ছিনতাই চলাকালে পথচারী ইকবাল ঘটনা আঁচ করতে পেরে চিৎকার দিলে ছিনতাইকারীরা টেক্সী নিয়ে তাকে জিম্মি করে নগদ ৫হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান ছগির আহমদ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন হিসেবে নোয়াখালী উপজেলার বাসিন্দা আবদুর রশিদের ছেলে চালক সালাহ উদ্দিন (২০) ও চরণদ্বীপ ফকিরাখালী এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে মো. রুবেল (২৮) কে স্থানীয়রা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাদের রাতেই থানায় সোপর্দ করা হয়।
থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাক আহমেদ জানান, সোপর্দকৃতদের স্বীকাররোক্তি অনুযায়ী ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দু’টেক্সীসহ চরণদ্বীপ মাইজপাড়া এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে গাড়ি চালক এরশাদ (২২), রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী পেয়াদা পাড়ার মো. খোকন (২৮) প্রকাশ পাখির জামাই ও চরণদ্বীপ শরীপপাড়া সায়ের মিয়া মেম্বার বাড়ী মো. বদিউল আলম (২৮ কে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। তবে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মালামাল ও বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, চরণদ্বীপে বেশকয়েজন সিএনজি টেক্সী চালক ও মালিক ছিনতাই কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। তারা যাত্রীবেশে উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতিতে অংশ নেন। এর আগে এ ধরণের কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে।