ভারতের টাকায় কেনা হবে ১২০ সর্বাধুনিক কোচ

0
75

ভারতীয় টাকায় কেনা হবে রেলের জন্য ১২০টি সর্বাধুনিক কোচ। এর ফলে আধুনিক নিরাপদ ও মান সম্পন্ন যাত্রী সেবা প্রদান করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এগুলো কিনতে মোট ব্যয় হবে ৯৭৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬৫ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার এবং ভারতীয় ঋণ থেকে ৭১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ভারতীয় ঋণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসিফুজ্জামান জানান, ২০১০ সালের ৭ আগস্ট ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থায়নের বিষয়ে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখান থেকে এ প্রকল্পের জন্য ৯৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিশ্চয়তা আছে।’

রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৩২৪টি ব্রডগেজ (বিজি) যাত্রীবাহী কোচ রয়েছে। এ সমস্ত কোচের মধ্যে ৭৮টি (২৪ শতাংশ) কোচের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অতিক্রান্ত হয়েছে। ট্রাফিক চাহিদা অনুসারে ২২৫টি বিজি কোচ বা ক্যারেজের স্বল্পতা রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে বর্তমানে বিদ্যমান ৩২৪টি কোচের মধ্যে মাত্র ১৮টি এসি কোচ আছে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। বাংলাদেশ রেলওয়ের কোড অনুযায়ী যাত্রীবাহী কোচের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল ধরা হয় ৩৫ বছর। আয়ুষ্কাল উত্তীর্ণ পুরাতন ও জরাজীর্ণ এই কোচগুলোর বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। এই কোচগুলো পুরাতন ডিজাইনের এবং খুব দ্রুত এগুলো প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। এ জন্য ভারতীয় ডলার ক্রেডিট লাইনের আওতায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২ জুলাই প্রকল্পটির ওপর পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পিইসি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৪ সালের ৩ জুলাই প্রকল্পটির ওপর ব্যয় প্রাক্কলন নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রকল্পটির মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৯৭৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা যা পিইসি সভায় মোট ব্যয় ১ হাজার ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেয়ে ৩৯ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা কম। পিইসি সভা ও ব্যয় প্রাক্কলন নির্ধারণ সংক্রান্ত সভার সুপারিশক্রমে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৯৭৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২৬৫ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার এবং প্রকল্প সাহায্যে ৭১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৪ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- ১২০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী (এসি স্লিপার কার ১৭টি, এসি চেয়ার কার ১৭টি, নন এসি শোভন ক্যারেজ ৬৭টি এবং এসি জেনারেটর কাম প্রার্থনা কক্ষ ১৯টি) কোচ সংগ্রহ। ১টি যানবাহন (জিপ) সংগ্রহ। অফিস ইক্যুইপমেন্ট ও আসবাবপত্র সংগ্রহ।

ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য আরাস্তু খান জানান, আধুনিক নিরাপদ ও মানসম্পন্ন যাত্রীবাহী ক্যারেজ পরিচালনার মাধ্যমে উন্নত যাত্রীসেবা প্রদান এবং পুরাতন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ক্যারেজ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীবাহী গাড়ির স্বল্পতা দূর করে যাত্রী সাধারণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও জানান, আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।