ভারতে ট্রেনের মধ্যে বাংলাদেশী গৃহবধূকে ধর্ষণ করে হত্যা

0
103

ভারতে অপহরণের পরে ট্রেনের মধ্যে ধর্ষণ করে নার্গিস নামে এক বাংলাদেশী গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার ১ মাস ১০ দিন পর নিহত ওই গৃহবধূর লাশ সোমবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। পরে লাশ নিহতের মেয়ে কোহিনূর কাকলি (০৯) ও অন্ধ মা মনিমালা কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন। নার্গিস খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার ৩/১, কেডিএ রোডের সাহাবুদ্দিনের মেয়ে। কোহিনূর কাকলি ও মনিমালা সাংবাদিকদের জানান, আজমির শরীফ যাওয়ার জন্য গত ৯ই মার্চ নার্গিসসহ তারা পেট্রোপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে ঢোকেন। ওইদিনই হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনের টিকেট কেটে দিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হন।
ধর্ষণ করে হত্যারাত সাড়ে ৩টার দিকে ৪/৫ জন যুবক দিল্লি চলে এসেছে জানিয়ে তাদের নামতে বলে। এ সময় তিনজনই নেমে গেলেও একটি ব্যাগ ভুলে রেখে আসায় সেটি আনতে আবার ট্রেনে ওঠেন নার্গিস। ওই সময় কয়েকজন যুবক ওর মুখ চেপে ধরে ট্রেনের গার্ডের রুমে নিয়ে যায়।
মনিমালা বলেন, আমি অন্ধ মানুষ, চোখে দেখি না। কেবল মেয়ের গোঙানো ও চিৎকার শুনতে পেয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকি। ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে চলে যায়। পরে স্টেশন এলাকায় জিজ্ঞেস করে জানতে পারি ওটা কানপুর স্টেশন। কয়েকদিন ধরে ওই স্টেশনে বসে কাঁদতে থাকি আর মানুষের কাছে আমার মেয়ের খোঁজ খবর নেই। লাশ নিতে আসা নার্গিসের চাচি রাহেলা বেগম বলেন, গত ১৯শে মার্চ খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ তাদের বাড়ি গিয়ে বলে যে, নার্গিস ভারতে মারা গেছে। লাশের সঙ্গে থাকা তিনটি পাসপোর্টে ঠিকানা পেয়ে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশে যোগাযোগ করেছিল বলে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ তাদের জানায়।