‘ভারত বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু’

0
65

হর্ষবর্ধনবাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন ¯্রংিলা ১৯ মে বিকেলে নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন এর সাথে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাত বৈঠকে সিটি মেয়র ভারতকে বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ১৯৭১ সনে ভারত বাংলাদেশের পাশে থেকে স্বাধীনতার জন্য যে অবদান রেখেছে বাংলাদেশ তা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের সেনাবাহিনীর বহু সদস্য জীবন উৎসর্গ করে যা- ইতিহাসে বিরল ঘটনা। মেয়র বলেন, বাংলাদেশে অনেক খাতে ভারত পুঁজি বিনিয়োগ করছে এবং বাংলাদেশের পণ্য ভারতে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে- যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি সুপ্রতিবেশী ভারতের বন্ধু সুলভ আচরন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিটি মেয়র তাঁর ভিশন প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের নগরীতে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চলছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে উন্নিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। অচিরেই চট্টগ্রাম নিরাপদ বিনিয়োগবান্ধব নগরীতে রূপ নেবে। মেয়র প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তার কার্যালয়ে ফুল এবং ক্রেস্ট উপহার দিয়ে স্বাগত জানান। সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে এবং থাকবে। বিদ্যুৎ সহ নানা খাতে ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহ সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে যাবে। ভারতের রাষ্ট্রদূত মেয়রের কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্বমানের নগরীতে পরিনত হবে। সাক্ষাত বৈঠকে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. গিয়াস উদ্দিন, তারেক সোলায়মান সেলিম, ইসমাঈল বালি, এস এম এরশাদউল্লাহ, শফিউল আলম, মো. জিয়াউল হক সুমন, জহুরুল আলম জসিম সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।