ভেজাল বীজধান বিক্রেতাকে অর্থদন্ড

0
110

প্রান্তিক কৃষকদের ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি

লিটন কুতুবী,কুতুবদিয়া:
ভেজাল বীজ ধান বিক্রি করে প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষতিসাধন করায় কৃষকদের অভিযোগে মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনোয়ারা বেগম ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধুরুং বাজারের মের্সাস ইসলাম স্টোর নামের সার ডিলারকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪১ ধারা মোতাবেক ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,, কুতুবদিয়া দ্বীপের লেমশীখালী ইউনিয়ন ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের কৃষকেরা লবণ মাঠে প্রায় ৬০ একর জমিতে লবণ সহিষ্ণু ব্রি ধান ৪৭ ধান রোপন করে। কৃষকেরা ঐ ব্রি ধান ৪৭ বীজ ধান ধুরুং বাজারের সার ডিলার মেসার্স ইসলাম স্টোর থেকে এডভান্সড মাল্টি ফার্ম লিমিটেড এর স্বর্ণালী বীজ নামের কোম্পানীর ব্রি ধান ৪৭ স্টীকার লাগানো ৫ কেজি ওজনের প্রতি প্যাকেট ৬শ টাকায় ক্রয় করে । কিন্তুু কৃষকেরা যথা সময়ে গেল আষাঢ মাসে লবণ মাঠের জমিতে চারা রোপন করে যথাযথ পরিচর্যা করার পরও বিগত ৪ মাসেও ধানের শীষ চোখে দেখেনি। তার পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকেরা নিজেদের সংগৃহীত বীজ ধান ব্রি ধান ৪৭ চাষ করে ফলন ঘরে তুলে। লেমশীখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিউল আলম ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শাহ আলম জানান, ব্রি ধান ৪৭ রোপিত ধানের ফলন না পেয়ে কৃষকেরা হতাশ হয়ে লেমশীখালী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রমিজ আহমদকে অবহিত করলে তারা উভয়ই সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে রোপিত ধান ব্রি ধান ৪৭ নয় বলে ঘোষনা দেন। বিষয়টি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক ইউএনওকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কৃষক শফিউল আলম আরো জানান, একই জমিতে কৃষকেরা আগামী দুই সপ্তাহ পর লবণ মাঠ তৈরী করার প্রক্রিয়া করতে গেলেই জমিতে রোপন করা কাঁচা ধান কেটে ফেলতে হবে । ডিলারের ভেজাল বীজ ধানের কারণে কৃষকদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ভেজাল বীজ বিক্রেতা নিকট থেকে ক্ষতিপূরণের দাবী জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, তাঁর জানা মতে কৃষকদের প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।