ভেন্টোলিন ইনহেলার দ্বিগুণের বেশি দামে

0
105

ওই কোম্পানি ও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক বলছেন, তারা এই ‍ওষুধের দাম বাড়াননি।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘তামান্না ফার্মেসিতে’ সোমবার সকালে ভেন্টোলিন ইনহেলার কিনতে যান মাহবুবা হক।

তিনি বলেন, “আমি এটা ১৭২ টাকায় কিনি। কিন্তু সোমবার সকালে তারা ৪০০ টাকা চাইল। পরে আমি বাংলাদেশে তৈরি করা একই ইনহেলার নিয়ে কিনে আনি।”

শুভ আহমেদ নামে ওই ফার্মেসির একজন বিক্রেতা এ বিষয়ে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে, “চাহিদা বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে। পাইকারি বাজার থেকে গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে এটা আমাদের কিনতে হয়।”

শীতের সময়ে শ্বাসকষ্ট এবং অ্যাজমার জন্য ভেন্টোলিন ইনহেলার দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

এই ওষুধের দাম বাড়ানো হয়নি জানিয়ে ই-মেইলে জিএসকের হেড অফ কমিউনিকেশনস রুমানা আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিএসকে শুধু এটা নিশ্চিত করতে পারে যে, ভেন্টোলিন রেসপিরেটরি সলিউশনের কোম্পানি মূল্য ১৭৩ টাকা ৪২ পয়সা। প্রায় এক দশক ধরেই এই দাম রয়েছে।

“কোনো ফার্মেসি দামে হেরফের করলে তা নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার জিএসকের নেই।”

ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মুস্তাফিজুর রহমানও একে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করেছেন।

“না…ওষুধ প্রশাসন ছাড়া কেউ দাম বাড়াতে পারে না। এটা অবৈধ।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমাদের মনিটরিং টিম আছে। আমরা এটা দেখব।”

বাংলাদেশে আড়াই লাখের বেশি ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রি হয়।

“কিন্তু এদের অনেকগুলোরই লাইসেন্স পর্যন্ত নেই,” বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির অধ্যাপক এবিএম ফারুক। দেশজুড়ে ওষুধ কোম্পানি পরিদর্শনকারী সংসদীয় দলে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশে মুদি দোকানের মতো ওষুধের দোকান বেড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সরকারের তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে ফার্মেসিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।”

আইন লংঘনের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ওষুধের দাম বাড়ানোর জন্য পাইকারদের দোষারোপ করেন অধ্যাপক ফারুক।

তিনি বলেন, মিটফোর্ডের পাইকাররা কিছু ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং দাম বাড়িয়ে নেয়।

“এখানে নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে।”

সরকার ও কোম্পানিগুলোর এদের তদারক করার মতো যথেষ্ট জনবল নেই বলেও পর্যবেক্ষণ তার।