আলীউর রহমান রুশাই এর ফেসবুক ওয়াল থেকে: আজকালের প্রজন্ম হয়তো চাঁটগাইয়া দুরুচ কুরার সাথে পরিচিত নয়। আমাদের শৈশবে মনজিল (মহরমকে চট্টগ্রামে মনজিল বলে) চাঁদ দেখা যাওয়ার পর পরই ঘরে ঘরে লাল ঝুটিওয়ালা বড় রাতা কুরা (মোরগ) সাথে দুরুইচ্চা কুরা (ছোট সাইজের মোরগ বা মুরগী) কেনা হতো দুরুচ (আস্ত মুরগির রোস্ট) করার জন্য। মনজিলের দুই তিন দিন আগে থেকে আমরা সেই বড় রাতা কুরার পায়ে সুতা বেঁধে উঠানে ঘুরাতাম। ভাবখানা সম বয়সিদের দেখানো ‘আরো রাতা কুরা হত বড়’।
অধিকাংশ গৃহস্থ এক বছর আগে মনজিলের জন্য মোরগ বড় করতো। মনজিলের দিন ধনী গরিব সকলের ঘরে দুরুচ কুরা, পোলাও ভাত, বিন্নি ভাত রান্না হতো। সন্ধ্যায় কলা, সুগন্ধী চাল, সিদ্ধ ডাল, বিভিন্ন ফল দিয়ে তিত চাল মাখা হতো। দাদীরা বলতো হযরত হোসেন রান্নার অভাবে কাঁচা চাল ডাল খেয়ে কারবালার যুদ্ধে গিয়েছিল বলে ১০ মহররম সেই তিত চাল খাওয়া হতো। এখনও মনজিলে চট্টগ্রামে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে মোরগ, পোলাও, বিন্নি চাল দেয়া হয়। এখন সেই রাতা কুরাও নাই, দুরুচ কুরা তো হারিয়েই গেল।