মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাহত ৩

0
59

চট্টগ্রাম সরকারি মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ফেসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছুরিকাঘাতে উভয় গ্রুপের তিনজন গুরুত আহত হয়েছে।

 

রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন- মো. বাপ্পি (১৮), আনোয়ারুল আজিম শাহিন (২২) ও মো. সোহেল (২১)।

 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে দুপুরে কলেজ ক্যম্পাসে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের সাথে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ছুরিকাঘাতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আবু হামিদ বিবার্তাকে জানান, ছুরিকাঘাত আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাপ্পি ও সোহেলের পেটে ছুরিকাঘাত হওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

মহিউদ্দিন অনুসারী হারুনুর রশিদ হৃদয় জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাসির গ্রুপের বাপ্পিসহ কয়েকজন এসে আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে শাহিন ও সোহেলকে ছুরিকাঘাত করলে শাহিনও তাকে ছুরিকাঘাত করে।

 

নাসির গ্রুপের অনুসারী বোরহান উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসা প্যনেল মেয়র মাহমুদুর রহমান হাসনী তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। নিচে শাহিনসহ সাবেক মেয়র গ্রুপের অনুসারীরা খারাপ কমেন্ট করায় তাদের বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে যায় বাপ্পি। এতে কথাকাটা কাটির এক পর্যয়ে শাহিন বাপ্পিকে ছুরিকাঘাত করে।

 

চকবাজার থানার ওসি মীর নুরুল হুদা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমাদের একটি টিম সার্বক্ষণিক কলেজ গেইটে অবস্থান করে। কিন্তু ঘটনাটি পাহাড়ের ওপরে হওয়ায় সেখানে যেতে পারেনি।

 

তিনি বলেন, কলেজের গেইট দিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকলেও কলেজের পেছন দিয়ে বহিরাগতরা সবসময় প্রবেশ করে থাকেন। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে বার বার বলা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো পদেক্ষেপ নেননি। তাহলে অনন্ত এসব ঘটনা আর হতো না।

 

এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ অঞ্জণ কুমার নন্দীর কাছে বিষয়টি জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।