মহেশখালীর জনগুরুত্বপূর্ন কাজের উন্নয়ন করা হবে

0
53

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি। কক্সবাজারের মহেশখালী সফর করেছে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি । শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার সময় কক্সবাজার থেকে নৌ-পথে মহেশখালীর আদিনাথ জেটিতে পৌঁছেন। আদিনাথ জেটিঘাটে উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,কৃষকলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। আদিনাথ জেটি হতে গাড়িযোগে আদিনাথ মন্দিরের পৌঁছেন এবং আদিনাথ মন্দির দর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। বিকাল ৪টার সময় মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারী কর্মকর্তা,রাজনীতিবিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ,ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান কালে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে জয় বাংলা স্লোগানকে বাদ দিতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান,খন্দকার মোস্তাক গংরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাদ দিতে চেয়েছিল। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারো স্বাধীনতার চেতনাকে ফিরিয়ে এনেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমানে সকলেই একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভালো অবস্থানে আছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অধীনে মহেশখালীতে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজের উন্নয়ন করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ জামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক। বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলে মহেশখালীর মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ গুলি স্বাধীনতার মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। আদিনাথ মন্দির ও তার পাদদেশে রাজাকার আলবদর বাহীনির লোকজন পাকিস্তানিদের দিয়ে অসংখ্য বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। অনেক নিরহ মানুষকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানিরা। স্বাধীনতার সময়ের অনেক স্মৃতি রয়েছে মহেশখালীতে। বক্তব্য রাখেন উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শরীফ বাদশা,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী,সহকারী পুলিশ সুপার(মহেশখালী সার্কেল) রতন কুমার দাশ গুপ্ত, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এম আজিজুর রহমান বিএ, মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা জিএম মাসুদ কুতুবী,উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ব্রজ গোপাল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমান দে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে,ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার এনামুল করিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাষ্টার মাহবুব আলম,বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, শাপলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন,সাবেক চেয়ারম্যান শামশুল আলম, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কমিশনার রতন,৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার সনজিৎ, আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির সভাপতি শান্তিলাল নন্দী, সদস্য সুব্রত দত্ত, আদিনাথ সংস্কার কমিটির প্রভাবশালী সদস্য বাবু কমল কৃষ্ণ ঘোষ,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছালেহ আহমদ, কমরেড দিলিপ দাশ, পূঁজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক প্রণব কান্তি দে প্রমুখ। অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন মহেশখালী কলেজের প্রফেসর আশীষ কুমার চক্রবর্তী।