মাদ্রাসার নামে চাদাঁবাজী, দখল, হত্যা, নির্যাতন

0
515

শফিউল আলম রাউজান প্রতিনিধি। রাউজান উপজেলায় মাদ্রাসার নামে চাদাঁবাজী, দখল, হত্যা, নির্যাতন এর জাল বিস্থার করে রেখেছিলো একটি পক্ষ।

রাউজান উপজেলার ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া হাটের পশ্চিম পাশে কাগতিয়া খালের পাড়ে ১৯৩২ সালে কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মার্দ্রসা প্রতিষ্টা করেন । হজরত রুপচান্দ আল ফারুখী আল কোরাইশীর রাউজানের কাগতিয়া এলাকায় বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচারে আর্ত্বনিয়োগ করেন । হজরত রুপচান্দ শাহ আল ফারুকীর প্রকাশ রুস্ত ফকির ২শত ৫০ বৎসর পুর্বে কাগতিয়া বাজার ও খালের পড়ে হজরত রুপচান্দ ফকির জামে মসজিদ প্রতিষ্টা করেন। মসািজদ সংগ্লন্ন এলাকায় হজরত রুপচান্দ শাহের পুত্র মরহুম বাকর আলী শাহ একটি ফোরকানিয়া মার্দ্রাসা প্রতিষ্টা করে। পরবর্তী ঐ ফোরকানিয়া মার্দ্রাসা এবতেদায়ী মার্দ্রাসা হিসাবে চালু করা হয় ।

হজরত রুপচান্দ শাহার প্রপৈাত্র মাওলানা রহমত আলী মার্দ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে প্রদান করেন হাটহাজারী মার্দরাসা এলাকার মাওলানা রুহুল আমিনকে । প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকি(রাঃ) এর পিতা মরহুম মাওলানা রহমত আলী জমি দান করেন । হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকী (রাঃ) চিলেন হালিশহরের পীর হজরত হাফেজ মুনিরুল্ল্রাহর ্এককনিষ্ট খলিফা । হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদিকি (রাঃ) তর তৈৃক নিবাস কাগতিয়া থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন হিংগলায় চলে যায় । দক্ষিন হিংগলায় জায়গা ক্রয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে বাসবাস করেন । গত ২০১৮ সালে রাউজানের দক্ষিন হিংগলায় তার নিজ বাড়ীতে ৯৭ বৎসর বয়সে ইন্তেকাল করেন হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদিকি (রাঃ) । হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদিকি (রাঃ) এর পৈতৃক জমিতে প্রতিষ্টিত কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মার্দ্রসা প্রতিষ্টা করা হয় । কাগতিয়্রা মার্দ্রসার শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয় আল্লামা রুহল আমিন সাহেবেকে । আল্লামা রুহল আমিনের বাড়ী হাটহাজারীর মার্দাশায় । তফজ্জল আহম্মদকে কাগতিয়া মার্দ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিন লালন পালন করেন । কাগতিয়া এশাতুল কামিল মার্দ্রসার শিক্ষক মরহুম রুহল আমিন পালক পুত্র তফজ্জল আহম্মদকে মার্দ্রাসায় লেখা পড়া করান পরে মাওলানা রুহুল আমিনের কন্যাকে তফজ্ঝল আহম্মদের কাছে বিবাহ দেয় । পরবর্তী তফজল আহম্মদকে মাওলানা রুহল আমিন মার্দ্রাসার শিক্ষক হিসাবে চাকুরী দেয় । তফজল আহম্মদ কে মাওলানা রুহুল আমিন তার প্রতিষ্টিত কাগতিয়ার বাড়ীতে ঘরজামাই হিসাবে রাখেন । মাওলানা রুহুল আমিন কাগতিয়া মার্দ্রাসার জন্য নির্মান করা ঘরে বসবাস করতো । তফজ্জলের বাড়ী ও কাগতিয়ায় নয় তার হাটহাজারীর মাদারীপুর এলাকায় । তার বাবার নাম নুর আহম্মদ লিখলে ও তার ও আসল সত্য নয়। মার্দ্রসায় শিক্ষকতা করার পরবর্তী তফজ্ঝল আহম্মদকে কাগতিয়া মার্দ্রসার অধ্যক্ষ পদে আসিন হয় । ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মার্দ্রসায় রাজাকারের ক্যম্প হিসাবে গড়ে তোলে । কাগতিয়া মার্দ্রাসার রাজকার ক্যম্পে ১৯৭১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্বা নাজিম উদ্দিন খান ও মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার রাউজানের ছিটিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দ্বা সময়ে কাগতিয়া এলাকার বাসিন্দ্বা তোফায়েল আহম্মদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্বারা হামলা করে । হামলার করার সময়ে রাজাকারদের সাথে মক্তিযোদ্বাদের যুদ্ব হয় । যুদ্বে মুক্তিযোদ্বা রাউজানের মোহাম্মদপুরের বাসিন্দ্বা মুছা খানশহীদ হয় । কাগতিয়া মার্দ্রাসার ভবনের দক্ষিন পাশে প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকি(রাঃ) এর পিতা মরহম মাওলানা রহমত আলীর প্রতিষ্টিত মসজিদ ও জমি কাগতিয়া মার্দ্রসার অধ্যক্ষ মুনিরুল্ল্রাহ জোর পুর্বক দখল করে নেয় । কাগতিয়া বাজারের মধ্যে প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকি(রাঃ) এর মালিকাধীন জমিতে গড়ে তোলা মার্কেট ও সন্ত্রাসী দিয়ে দখল করে নেয় মুনিরুল্ল্যাহ । কাগতিয়া বাজারের মধ্যে প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকি(রাঃ) এর গড়ে তোলা মাকের্ট দকল করে নিয়ে মাকেটের নাম দেওয়া হয় কাগতিয়া মার্দ্রাসা মাকের্ট । প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকি(রাঃ) এর পুত্র মাওলানা হাসান গতকাল ২৪ জুন সোমবার কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মার্দ্রাসার ভন্ড পীর অধ্যক্ষ মুনিরুল্ল্রাহর বিরুদ্বে প্রদত্ত অভিযোগের তদন্ত কারী ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের তদন্ত দলের সদস্যদের কাছে অভিযোগ করে বলেন আমার পৈতৃক সম্পত্তি জোর পুর্বক দখল করে নেওয়ার পর আমার পিতা প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হজরত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকি(রাঃ) রপচান্দ মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসাবে আদালতে মামলা করেন । মামলার রায়ে উচ্চ আদালত থেকে আমার পিতার পক্ষে রায় দিলে ও মুনিরুল্ল্যাহর লালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমার পিতা ও আমরা জববর দখল থেকে জমি উদ্বার করতে পারেনি । সরেজমিনে কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মার্দ্রাসা পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক সিরাজ উদিদ্দন আহম্মদ, ডঃ রেজাউল করিম ডঃ জাবেদের নেতৃতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে এলাকার লোকজন মার্দ্রাসার না দিয়ে চাদাঁ আদায়, মার্দ্রাসার নাম দিয়ে কোরবানী পশুর চামড়া নিয়ে চাদাঁর টাকা ও কোরবানী পশুর বিক্রিত টাকা আতœসাৎ করার অভিযোগ করে । মুনিরুল্ল্রাহ অযোগ্য ব্যক্তি হওয়ার পর ও মার্দ্রাসার অধ্যক্ষ পদে সরকারের নীতিমালা না মেনে অবৈধ ভাবে নিয়োগ লাভ করা। মুনিরুল্ল্রাহ চট্টগ্রামের বায়োজিদ ও ঢাকায়ম রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন তার আয়ের উৎস কি? তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তকারী দলের সদস্যদের কাছে দাবী জানান এলাকার ক্ষত্রিগ্রস্থ ব্যক্তিরা । তদন্তকারী দলের সদস্যদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর বায়োজিদ এলাকার সাগর ফকির তার ২একর ৪০ শতক জমি বায়োজিদ এলাকায় মুনিরুল্ল্রাহ ও তার সন্ত্রাসীরা জোর পুর্বক দখল করে নিয়েছে । এ ব্যাপারে সাগর ফকির বায়োজিদ থানায় মামলা করেছে বলে জানান । রাউজানের কাগতিয়ার বাসিন্দ্বা মোঃ ইলিয়াছ অভিযোগ করেন তার জায়গা জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে মুনিরুল্ল্যাহ তার লরালিত সন্ত্রাসীরা । মোঃ ইলিয়াছ তার জায়গা দখল করার প্রতিবাদ করায় তাকে মারাধর করে সন্ত্রাসীরা । তদন্তকারী দলের সদস্যদের কাছে মুনিরুল্ল্রাহর ভাই মুহাম্মদ উল্ল্রাহ ও হাবিব উল্ল্রাহ অভিযোগ করেন মুনিরুল্ল্যাহ আমরা দুই ভাাইকে এলাকা থেকে বিতারিত করেছে অ আমার পিতা তফজ্জল আহম্মদ মারা যাওয়ার পর আমার দু ভাই বাড়ীতে আসলে আমাদেও বাবার জানাজার নামাজে আসতে দেয়নি । তদন্তকারী দলের সদস্যদের মুনিরুল্ল্রাহ ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়া কাগতিয়া মাসুদ, আনোয়ার, শরিফুল হক মুন্না, মগদাইর মোজাহারুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা মোজ্জামেল হক তাদেও উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন । তদন্তকারী দলের সদস্যদের সামনে পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবুউদ্দিন আরিফ, পৌর কাউন্সিলর জানে আলম জনি, মক্তিযোদ্বা সংসদের কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরী, রাউজান পৌরসভার প্যনেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, মুনিরুল্ল্যাহ ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ও আহতদের নাম তুলে ধরেন । আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবুউদ্দিন আরিফ, পৌর কাউন্সিলর জানে আলম জনি, মক্তিযোদ্বা সংসদের কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরী, রাউজান পৌরসভার প্যনেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ তদন্তকারী দলের সদস্যদের জানান, আন্তজাতিক জঙ্গি গোষ্টি আই, এস ,এস ও জামায়েত ইসলামীর মদদপুষ্ট সংগঠন মুনিরিয়া যুবতবলীগ কমিটি । মুনিরুল্ল্রাহ তার অনুসরী সন্ত্রাসীরা গত ১৯৯৭ সালের ২৭ আগষ্ট রাঙ্গুনিয়ার মাওলানা মফজ্জল আহম্মদ নঈমীর উপর হামলা করে । গত ২০০৪ সালের ২৫ জুন মুনিরুল্লাহ তার বড় ভাই মুহাম্মদ উল্ল্যাকে লাঞ্চিত করে। গত ২০০৭ সালে প্রতিবেশী জালাল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন দু ভাইয়ের সম্পত্তি দখল করে নেয় । ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই মাওলনা হুমায়ুন কবিরেকে মারধর করে। ২০০৭ সালের ২৯ মে পরিক্ষা কেন্দ্রে কাগতিয়া র্মাদ্রসার পরিক্ষার্থী নকল করার সময়ে রাউজান দারুল ইসলাম মার্দ্রসার শিক্ষক মাওলানা আসাদুজ্জমান নকল সহ পরিক্ষার্থীদের ধরলে মাওলনা আসাদুজ্জমাকে মারধর করে। চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফঅরাহ জামে মসজিদেও মুনিরিয়ার ত্বরিকত কনফারেন্স চলাকালে মগদাই এলাকার সুফি সৈয়দুল হক সাএহবের নাতি মোজাহারুল কে সার্কিট হাউসের পাশে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। মগদাই এলঅকায় মাওলানা বদিউল আলম মাহফিল করার সময়ে তার উপর হামলা করে । ২০০৯ সালে ফটিকছড়ি ওয়াজ করে ফেরার পথে মাওলানা রজভীর উপর হামলা করে । ২০০৯ সালে রাউজানের কদলপুরে ওয়াজ করে ফেরার পথে মাওলানা নঈম উদিআদনের হামলা করে। ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল হাটহাজারীর কুয়াইশ এলঅকায় ওয়াজ করে চট্টগ্রাম শহরে ফেরার পথে জঙ্গি ও জামায়েত শিবিরের কায়দার আল্লামা শফিউল আলম নেজামীকে আটক করে তার পায়ের রগ কেটে দেয়। ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল রাউজানের উত্তর সর্তা এলাকার কিশোর নঈম উদ্দিনের উপর হামলা করে মুনিরিয়ার সন্ত্রাসীরা । মারাত্বক আহতক অবস্থায় ২০১০ সালের ১৩ মে কিশোর নঈম উদ্দিন মৃত্যু বরন করেন । মুনিরুল্ল্রাহ ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয় কদলপুর মীর বাগিচার সুমন, ইয়াসির আরফাত, গাউছিযা কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদেও যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট মে,াসাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, রাউজানের মোহাম্মদপওেরর হাফেজ নুরুল আবছার, রাউজানের মোহাম্মদপুরের রিক্সা চালক শামশুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা গহিরা শান্তির দ্বীপ সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক, মুক্তিযোদ্বা শফিকুল আনোয়ার, হলদিয়া ফকির চিলা এলাকার শিশু মাসুম ও রবিউল, মুনিরুল্ল্রাহর শিক্ষক মাওলানা হারুন উর রশিদ, সেয়দ আবদুল্ল্রাহ আল রশিদি,কাগতিয়ার রায়হান, মগদাইর নুরুল আমিন। তদন্তকারী দলের সদস্যদের সামনে রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্ল্রাহ বলেন মুনিরুল্ল্রাহ ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার হওয়া লোকজন রাউজান থানায় ১৩টি মামলা করেছে । মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে । মামলার আরো ৯ জন আসামী আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত হলে ৯ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগোরে পাঠানো হয়েছে । ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের তদন্ত দলের সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহম্মদ জানান তদন্ত করার পুর্বে অভিযোগকারী ও মার্দ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফোরকান মিয়া, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ড: আবুল মনসুর, মাদ্রসার অধ্যক্ষ মুনিরুল্ল্রাহকে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র প্রেরণ করেছি । মার্দ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফোরকান মিয়া, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ড: আবুল মনসুর উপস্থিত থাকতে পারবেনা বলে লিখিত ভাবে পত্র দিয়ে আমাদেও জানিয়েছেন । গতকাল ২৪ জুন সোমবার ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের তদন্ত দলের সদস্যরা কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মার্দ্রাসায় তদন্তের জন্য আসলে ও মার্দ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফোরকান মিয়া, বিদ্যুৎসাহী সদস্য ড: আবুল মনসুর উপস্থিত ছিলেনা না । মার্দ্রাসার অধ্যক্ষ মুনিরুল্ল্রাহ গত আড়াই মাস ধরে ছুটি না নিয়ে মার্দ্রসায় অনুউপস্থিত রয়েছে বলে অভিযোগ করায় তদন্তকারী দলের সদস্যরা মার্দ্রসার শিক্ষক ও অফিস সহকারীর কাছে ছুটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা ছুটির ব্যাপারে কোন ক্গাজ প৪ত্র দেখাতে পারেনি । তদন্ত দলের সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, আমরা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে আমাদেও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেব । আমার কোন পক্ষপাতিত্ব করবনা । ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের তদন্ত দলের সদস্যদের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ। রাউজান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আবদুল্ল্যাহ আল মামুন তদন্তকারী দলের সদস্যদের অভিযোগ করে বলেন কাগতিয়া মার্দ্রাসার পাশর্^বর্তী কাগতিয়া এ,কে সি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জোর পুবর্ক দখল করে নেয় । মুনিরউল্ল্রাহ তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা ।
গতকাল ২৪ জুন সোমবার সকালে জমিয়তুল মোদারেসিন রাউজান উপজেলার উদ্যোগে মার্দ্রসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের গহিরা থেকে রাউজানের মুন্সির ঘাটা পর্যন্ত সড়কের পাশে দাড়িয়ে মুনিরিয়া যুবতবলীগ কমিটি নিষিদ্ব করার দাবীতে মানববন্দন কর্মসুচি পালন করে। জমিয়তুল মোদারেসিন রাউজান উপজেলা শাখার সভাপতি কদলপুর হামিদিয়া ফাজিল মার্দ্রসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকি বলেন মুনিরুল্লাহ তার অনুসারীরা তরিকত্বের না ব্যবহার করে রাউজানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ কায়েম করার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে । মুনিরুল্ল্রাহ ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের হাতে আলেম ওলামা সহ নিরিহী মানুষ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে । জমিয়তুল মোদারেসিন রাউজান উপজেলা শাখার সভাপতি কদলপুর হামিদিয়া ফাজিল মার্দ্রসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকি মুনিরিয়া যুবতবলীগ কমিটিকে নিষিদ্ব ঘোষনার দাবীতে মার্দ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সড়কে ব্যনার ফেষ্টুন নিয়ে মানববন্দ্বন কর্মসুচি পালন করছেন । ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের তদন্ত দলের সদস্যরা কাগুিতয়া এশাতুল উলুম কামিল মার্দ্রসায় যাওয়ার সংবাদে কাগতিয়া এলাকার শিক্ষক শিক্ষার্থী ও নির্যাতনের শিক্রা হওয়া লোকজন বিনাজুরী ও কাগতিয়া এলাকায় মানবন্দন কর্মসুচি পালন করেন । রাউজানের গহিরা চৌমুহনী এলাকায় মানববন্দ্বন কর্মসুচিতে কাগতিয়া পীরের অনুসারী আল্লামা ইব্রাহিফ হানিফিকে মানববন্দ্বন কর্মসুচিতে দেখা যায় ।