মালয়েশিয়া বিএনপির আলোচনা সভা

0
88

সরকার জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ : জয়নুল
নব্বইয়ের মতো বেগম জিয়ার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে: ভিপি নাজিম
আওয়ামী লীগ জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন,‘আওয়ামী লীগের প্রয়োজন পদত্যাগ করা।’ শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ায় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ১০তম কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ূম, একেএম ওহিদুজ্জামান। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি চাকসু ভিপি মো.নাজিম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুবুল আলম শাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালা মিঠু, বিএনপি নেতা শাহেদ চৌধুরী সায়েদ প্রমুখ। জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ। চালের বাজারে চাল নেই কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের গুদামে চাল মজুত রয়েছে। চাল নিয়ে চালবাজি করছে সরকার। চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি। মানুষ খেতে পারছে না , পড়তে পারছে না, কথা বলতে পারছে না স্বাধীনভাবে। কিন্তু সরকারের খাদ্যমন্ত্রী গালবাজি করে চলেছেন চাল নিয়ে। লজ্জ্বাশরম নেই বলে খাদ্যমন্ত্রী এখনো পদত্যাগ করেনি।’ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি চাকসু ভিপি মো.নাজিম উদ্দিন বলেন,‘ ‘বেগম জিয়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। এবারও তিনি নেতৃত্বে দিবে। আর বেগম জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক জিয়া ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। মুক্তিকামী জনগণ সরকারকে প্রতিহত করবে। গত নির্বাচনে চট্টগ্রামে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন হয়েছিল। এবারও হবে। তিনি সভা থেকে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর মুক্তি দাবি করেন।
সরকার জনগণকে ভয় পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে সরকার প্রশাসনের উপর আস্থা রাখছে বেশি। বর্তমান সরকার ভোট ছাড়া ক্ষমতায় গিয়ে বন্ধুকের নলের জোড়ে দেশ চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলীয়া ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তারা জনবিচ্ছিন্ন। কিন্তু স্বৈরাচার বেশি দিন স্থায়ী হয় না। ইতিহাস বলে জয় জনগণেই হয়। আর বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল’।