মিরসরাইয়ে সহিংসতায় শেষ হলো ইউপি নির্বাচন

0
109

বগলা কুমার মিরসরাই সংবাদদাতা :::
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিচ্ছিন্œ সহিংসতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ১ নং করের হাট ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে যাওয়াতে কার্যত উপজেলা বাকি ৬ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের ভেতর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে মোট ৭ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন, মো. জহির উদ্দিন, মো. হাসেম, মো. শামসুদ্দিন, মো. আনোয়ার, মো. সাহাবউদ্দিন, মুক্তা ও নুসরাত। এদের ভেতর আহত শামসুদ্দিনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়াতে তাকে চমেকে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর ১ টার ভেতরেই অধিকাংশ ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে বিএনপি’র কর্মী সমর্থক ও তাদের পোস্টার তেমন চোখে না পড়লেও সবত্র ঝুলছে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থীদের পেস্টার ফেষ্টুন। কেন্দ্রের বাইরে উৎসবমুখর পরিবেশে অবস্থান করছে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরা কর্মী সমর্থকরা। তবে ভোট নিয়ে বেশিরভার জল্পনা কল্পনা ও দৌড়ঝাপ দেখা যায় সাধারন সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদের কর্মী সমর্থকের মাঝে। বিএনপি সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা অভিযোগ করে বলেন, শুধু কর্মী নয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরাই ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে যেতে পারেননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরো জানান তারা নিজেদের ভোটাধিকারই প্রয়োগ করতে পারেননি। এদিকে ভোট গ্রহন শুরু করার তিন ঘন্টা পর বিএনপির তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন প্রত্যাখান করে পুনঃ নির্বাচন দাবি করেন।
দুপুর ১২টায় ১৩নং মায়ানী ইউনিয়নের মায়ানী বগলা কুমার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, মহিলা ভোটাররা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অপেক্ষা করছে। উক্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার বোরহান উদ্দিন জানান, সকাল থেকে ভোটাররা উৎসাহ উদ্দিপনার মাধমে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিচ্ছে। উক্ত কেন্দ্রে কোথাও কোন ধরনের সহিংসতা নেই বলেও তিনি জানান।
এদিকে ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নে সকাল ১১টায় মেম্বার প্রর্থীদের সমর্থকদের মাঝে বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয় ৭ কর্মি সমর্থক। আহতদের এক জনকে চমেকে এবং বাকিদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই ছেড়ে দেয়া হয়।
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। বিএনপির প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা কেন্দ্রে এজেন্ট না দিয়ে অহেতুক অভিযোগ করে কোন লাভ নেই। গনতান্ত্রিক পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে কাউকে যেতে বাধা দেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা।
এই নির্বাচনে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলায় ভোটগ্রহন চলছে। এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও তিনটি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার তোফায়েল হোসেন বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৬জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৭১ জন সাধারন সদস্য প্রার্থী ও ২৪ জন সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে হচ্ছে।