মিশর, চীন, পাকিস্তান থেকে আসছে ৬৬ হাজার টন পেঁয়াজ

0
266

পেঁয়াজের সরবরাহ সংকট কাটাতে মিশর, চীন, পাকিস্তান, তুর্কি ও উজকেকিস্তান থেকে ৬৫ হাজার ৯৬০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) নিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

এর মধ্যে মিশর থেকে ৫৮ হাজার ১৮৮ টন, চীন থেকে ৪ হাজার ৫২২ টন, পাকিস্তান থেকে ২ হাজার ২০০ টন, তুর্কি থেকে ৮২০ টন, উজবেকিস্তান থেকে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

গত ১২ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এসব পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল।

তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আনছে এস আলম গ্রুপ। মেসার্স সোনালি ট্রেডার্সের নামে মিশর থেকে ১১ হাজার টনের পাঁচটি আইপিতে ৫৫ হাজার টন মিশরি পেঁয়াজ আনবে গ্রুপটি। চীন থেকে ১ হাজার টন পেঁয়াজ আনছে চট্টগ্রামের মনির এন্টারপ্রাইজ এবং ৫০০ টন আনছে ওয়াসিফ ট্রেডিং। পাকিস্তান থেকে ৬০০ টন আনছে চট্টগ্রামের সেতারা ট্রেডিং এবং সাতক্ষীরার নূর এন্টারপ্রাইজ আনছে ৫০০ টন। মিশর থেকে চট্টগ্রামের সাউদার্ন ট্রেডিং আনছে ৬০০ টন।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৮১৫ টন পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকেছে বলে জানান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের এ কর্মকর্তা। এর মধ্যে মিশরের ১ হাজার ৪৪৬ টন, চীনের ৮৪৭ টন, মিয়ানমারের ১ হাজার ২২৮ টন, তুর্কির ১৮২ টন, ইউএই’র ১১২ টন পেঁয়াজ রয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দামে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল। তবে পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতি কমাতে মিশরসহ বিভিন্ন দেশের বড় বড় পেঁয়াজগুলো ভূমিকার রাখছে বেশ। ২০ কেজির বস্তা এসব পেঁয়াজের। ৪-৫টি পেঁয়াজেই এক কেজি। দামও ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় অনেক কম।

তবে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কিছুটা সময় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রোববার (১০ নভেম্বর) থেকে পুরোদমে অপারেশনাল কার্যক্রম চলছে। পেঁয়াজের কনটেইনারগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজ পৌঁছাতে পারে।