মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্ভব

0
86

ঘাতক দালাল‘সত্যিকারার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া গেলেই গুপ্তহত্যা ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ অসম্ভব কিছু নয়। পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সর্বস্তরে সচেতন ভূমিকা পালন এবং প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।’
একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের পুরোগামী নেত্রী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ জননী জাহানারা ইমাম-এর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর হাতে গড়া সংগঠন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত ‘গুপ্তহত্যা ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা উপর্যুক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
২৭ জুন বিকেল ৪টায় নগরীর মোমিন রোডস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের ৩য় তলায় “চট্টলবন্ধু এস.এম জামাল উদ্দিন মিলানায়তনে” আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলা আহবায়ক অ্যাডভোকেট সীমান্ত তালুকদার। সদস্য খোরশেদুল আলম সোহানের সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সহ-সভাপতি স্বপন সেন, জেলা নেতা অমিতাভ সেন, সাজ্জাত হোসাইন, আবু সাদাত মো. সায়েম, মাউসুফ উদ্দিন মাসুম, অ্যাডভোকেট প্রকৃতি চৌধুরী ছোটন, অসীত বরণ বিশ্বাস, নিখিলেশ সরকার রাজ, আকর দে পিনাক, পলটন দাশ, আমিনুল ইসলাম রানা, অনিক হাওলাদার, তারেক আজিজ, বাবলু আচার্য শ্রাবণ, বেলাল নূরী, বেলাল হোসেন, তুর্য দত্ত, মোহাম্মদ পিংকু, পরাগ চৌধুরী, রবিন তালুকদার, নোমান বিন খুরশীদ, এ.এস এম রেজোয়ান, তঞ্জয় দত্ত, রাজীব দে, রনক বসু, রৌহান দাশ প্রমুখ।
সূচনা বক্তব্যে শওকত বাঙালি বলেন, দীর্ঘ পঁচিশ বছরের সংগ্রামে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ডিঙ্গিয়ে নির্মূল কমিটি আজ সূদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে সংগঠনটির ধারাবাহিক আন্দোলন। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী জাতীয়ভাবে পালনের জোর দাবি জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে সীমান্ত তালুকদার যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের কঠোর হস্তে দমনের দাবি জানিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।