মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাইকালে হট্টগোল

0
50

বোয়ালখালীতে ৭০জনের সাক্ষাত নিয়েছে যাচাই বাচাই কমিটি

বোয়ালখালী প্রতিনিধি :
———————
বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ও আহলা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী ৭০জনের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী মাহবুবুল আলম। তিনি শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক সংক্ষিপ্ত প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ, পোপাদিয়া ও চরণদ্বীপ ইউনিয়নের আবেদন যাচাই বাচাই করা হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি শাকপুরা, পূর্ব গোমদন্ডী ও কধুরখীল ইউনিয়নের আবেদন যাচাই বাচাই করা হবে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম গোমদন্ডী ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের আবেদন যাচাই বাচাই করা হবে। তবে নতুন করে আবেদনের সুযোগ নেই জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, অনলাইনে যারা আবেদন করে ফরম জমা দিতে পারেননি শুধুমাত্র তারাই জমা দিতে পারবেন।

এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. হারুন মিয়া বলেন, লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাচাই করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র অনলাইনে নির্ধারিত সময়ে আবেদনকারীদের সাক্ষাতকার নেয়া হচ্ছে। গোপনীয়তার স্বার্থে কারা বাধ পড়ছেন তা এ মূর্হুতে বলা যাচ্ছে না।

বোয়ালখালী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে রয়েছেন স্থানীয় সাংসদ মাঈন উদ্দিন খান বাদল, ইউএনও কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার মো. মাহবুবুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন বিএলএফ কমান্ডার রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, প্লাটুন কমান্ডার এম এ বশর, উপজেলা কমান্ডার মো. হারুন মিয়া, ডেপুটি কমান্ডার আজিম উদ্দিন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাইকালে উপজেলা মিলনায়তনে যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. সোলায়মান কেন তাঁকে যাচাই-বাচাই কমিটিতে রাখা হয়নি জানতে চাইলে বর্তমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন মিয়া তাঁকে শারীরিক অক্ষম ব্যক্তিদের কমিটিতে না রাখার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমিটি থেকে বলা হয়েছে জানালে কথাকাটাকাটির পর্যায়ে রূপ নেয়। এসময় যাচাই বাচাই কমিটির সামনে কাগজ ছুঁড়ে মেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার মো. সোলায়মান। পরে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে শান্ত করেন। এছাড়া মিলনায়তনে রফিকুল আলম চৌধুরী বাদল নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে টাকা নিয়ে ভূয়া সাক্ষী দিয়েছে বলে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন আরেক মুক্তিযোদ্ধা।

হট্টগোলের খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা মিলনায়তনে ছুটে গেলে পুলিশ কাউকেই প্রবেশ করতে দেননি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে যাচাই-বাচাইয়ের দিন বিকেলে প্রেস বিফিং এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য,বোয়ালখালী ৪৬১জন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করেছেন। তৎমধ্যে অনলাইনে ৩৫৯জন ও লিখিতভাবে ১০২ জন আবেদন দিয়েছেন।