মেধাবী ছাত্রী আছমা বাঁচাতে চায়

0
52

%e0%a6%86%e0%a6%9b%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%9a%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a7%9f
বান্দরবানের লামা উপজেলার দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আছমা আক্তারকে (১৬) বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার করুণ আর্তি জানিয়েছেন তার অসহায় মা-বাবা, শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

আছমা লাইনঝিরি মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং লামা সদর ইউনিয়নের নুনারঝিরি গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর আবুল হোসেনের মেয়ে। সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে দু’ বছর ধরে বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালের দিকে হঠাৎ আছমা আক্তারের প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তার মা-বাবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন দায়িত্বরত চিকিৎকরা। ধার-দেনা করে মেয়েকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরপর তিনবার নিয়ে গেলেও আরোগ্য হয়নি তার। বর্তমানে তার দুই পা’সহ শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে প্রথমে ফোসকা দেখা দেয়; পরে এ ফোসকা ঘা’তে রুপান্তরিত হয়ে পড়ে। রোগ যন্ত্রণায় অতিষ্ট আছমা এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বর্তমানে সে চলাফেরা দূরে থাক; কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না।

দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বলেছেন, উন্নত চিকিৎসা সেবা পেলে আছমার রোগ সম্পূর্ণ সেরে যাবে। সুস্থ হয়ে আবার সে আগের মত লেখাপড়া করতে পারবে, অন্যদের মত স্বাভাবিক চলাফেলা করতে পারবে। তবে দিনমজুর বাবা মো. আবুল হোসেনের পক্ষে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা খরচ যোগানোর মত আর কোন সুযোগ না থাকায় সমাজের বিত্তবানদের নিকট সাহায়্যের আকুল আবেদন জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান।

আছমা আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বলেন, আছমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কিছু খেতে পারছে না। কিছু খেলেই সাথে সাথে বমি হয়। সহায় সম্বল যা ছিল তা বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসা করেছি। গত দু বছরে মেয়ের চিকিৎসার জন্য চার লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। আর কোন সম্পদ না থাকায় বর্তমানে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। সাহায্য পাঠানো ও যোগাযোগ: বাবার মোবাইল ও বিকাশ নং- ০১৮২৮৬২১০০৩। সোনালী ব্যাংক, লামা শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৩৪০৯১৬৮৬।

লাইনঝিরি মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, আছমা আক্তারের চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক মিলে যৎসামান্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে তার অসহায় মা-বাবার পক্ষে ব্যয়বহুল উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। আমরা সাধ্যমত আরও সহায়তা দেব। সে সাথে সবাইকে অসহায় ও মেধাবী ছাত্রী আছমা আক্তারের চিকিৎসা সহায়াতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।