মেরিন একাডেমি

0
70

প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ক্যাডেটদের আগুন মহড়া (ক্যাম্প ফায়ার), মহান বিজয় দিবস ও অগ্রগামী নাবিকদের (পাইওনিয়ার মেরিনার) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় একাডেমির প্যারেড মাঠে ও অডিটোরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
মেরিন একাডেমির ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন কাজী এ বি এম শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন একাডেমির নৌ শিক্ষা প্রধান ক্যাপ্টেন মোঃ তৌফিুকুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মো. মনজুরুল কবির, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ, উর্ধ্বতন নৌ-প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন আই কে তৈমুর, এ্যাডজুটেন্ট লেঃ কমান্ডার মুসা মতিউর রহমান প্রমূখ।
প্রধান অতিথি ফায়ার প্লেসে আগুন প্রজ্জ¦লনের মাধ্যমে ক্যাম্প ফায়ার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন এবং ডেপুটি কমান্ড্যান্ট, বিভাগীয় প্রধানগণসহ সংবর্ধিত অতিথিবৃন্দ ফানুস উড়ানো, আতশবাজি পোড়ানো ও ক্যাম্প ফায়ারে অংশগ্রহণ করেন।
ক্যাম্প ফায়ারে সমুদ্রে আপদকালীন সময়ে বন্য জন্তু শিকার ও খাবার বানিয়ে খাওয়ার উপর মহড়া শেখানো হয়। পাশাপাশি মেরিন সেক্টরের ৪০জন অগ্রগামী নাবিকদের (পাইওনিয়ার মেরিনার) সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী ক্যাপ্টেন আই কে তৈমুর তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন- অগ্রগামী নাবিক(১৯৪০-১৯৫০)দের অকৃত্রিম অবদান রয়েছে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের প্রথম-ভাগে বৈদেশিক-মুদ্রা অর্জনসহ রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাঁদের ছিল অক্লান্ত পরিশ্রম ও অনস্বীকার্য অবদান। যাহা আমরা আন্তরিকভাবে অনুভব করি। তাঁরাই বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম ওর্য়াল্ড মেরিটাইম শিপিং এ পরিচিত দেন, যাদের অনেকে আজ আমাদের মাঝে নেই। তাদের সকলের প্রতি আমরা রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং যারা জীবিত আছেন তাদের সকলের প্রতি মঙ্গল কামনা করছি।
পরে একাডেমীর কমান্ড্যান্ট নৌপ্রকৌ. ড. সাজিদ হোসেন ও মেহের নিগারের দ্বৈত সংগীত, মেরিনার্স ভাবী’র কিছু কথা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ হয়।