মেয়র’র সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত

0
57

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি বৃহষ্পতিবার, সকালে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এর দপ্তরে জাপানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত হলে মেয়র তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার প্রদান করেন। সৌজন্য বৈঠকে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলাদেশের সাথে জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্কের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্য খাত ও নানামুখী উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে দেশের অবস্থানকে আরো সমুন্নত করবে। সাক্ষাত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ওয়ার সিমেট্রিতে চিরশায়িত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মদানকারী জাপানি সৈন্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। সিটি মেয়রও শহীদদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মেয়র তার দায়িত্ব গ্রহন থেকে এ সময় পর্যন্ত গৃহিত উন্নয়ন কর্মকান্ড বিস্তারিত তথ্যচিত্র তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা রয়েছে।নগরীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্যা, এল ই ডি সংযোজন, বিউটিফিকেশন, এল ই ডি বিলবোর্ড ব্যবস্থাপনা, পর্যটন শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প, পাওয়ার প্ল্যান্ট সহ নানা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, জাপান জাইকার মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীতে অবকাঠামো ও যোগাযোগখাতে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মেয়র বলেন, দেশী ও বিদেশী সাহায্য সংস্থার সহযোগিতা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়ের উৎস থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে দৃষ্টি নন্দন, নিরাপদ, সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রচেষ্টা চলছে। তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ার নানাদিক তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম অর্থনীতির হৃদপিন্ড ও বানিজ্যিক খাত। চট্টগ্রাম বিনিয়োগের উত্তম স্থান। এছাড়াও সরকার মিরশরাই এবং আনোয়ারা সহ নানা জায়গায় অর্থনেতিক জোন গড়ে তুলেছে। এসকল জোনে জাপান বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। মেয়র চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চান। সৌজন্য সাক্ষাতে জাপানী রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে জাপান সরকারের ৬’শ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার বিষয়টি আলোচনা করেন। এছাড়াও ঢাকা,চট্টগ্রাম, কক্সবাজার মাতারবাড়ি পর্যন্ত স্থল ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জাপান আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে জাপানি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপান বাংলাদেশের পাশে আছে আগামীতেও থাকবে। সৌজন্য সাক্ষাত বৈঠকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মিসেস নাজিয়া শিরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম,জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম এবং চট্টগ্রামস্থ জাপানের অনাররি কনসল নুরুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।