মেয়র রফিকের দলে ফেরা ইতিবাচক যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা

0
111

শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥

%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%acখাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা লুট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল আলম।

মেয়র রফিকুল আলমের ফের আওয়ামীলীগে যোগদান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পার্বত্য জেলা পরিষদে জনকল্যাণে আসা বরাদ্দের টাকা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য কল্যাণমুখী উদ্যোগ নিচ্ছেন আর স্বার্থান্বেষী একটি মহল দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অর্থ লুট করছেন। তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে বলে হুশিঁয়ারী দেন মেয়র রফিকুল আলম।

কারণে অকারণে ৮-৯ বছর দলের সক্রিয় না থাকলেও নৈপথ্যে আওয়ামীলীগের জন্য শ্রম দিয়েছেন উল্লেখ করে রফিকুল আলম আরও বলেন, দেশনেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্পের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে একটি উন্নয়নমুখী, জনবান্ধব, অসাম্প্রদায়িক ও বিভেদহীন দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ফের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি। এখন থেকে খাগড়াছড়িতে ওয়াদুদ ভূইয়ার নেতৃত্বে বিএনপি কোন কর্মসূচি করতে দেয়া হবেনা বলেও হুশিঁয়ারী দেন তিনি।

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী) যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম শফি, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিন, সমাজকর্মী হাজী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী) যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আগামী প্রজন্মকে রাজনীতির হাল ধরতে হবে। রফিক আওয়ামীলীগ পরিবারই একজন। দলে ফিরে আসা তার জন্য ইতিবাচক। এখন বিভেদ কিংবা অনৈক্যের সময় নয় দাবী করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬সাল পর্যন্ত ওয়াদুদ ভূইয়ার নির্দেশেই আমাকেসহ দলীয় নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করতে ৫৭টি মামলা দিয়েছিল। জামিন নেয়ার পরও এলাকায় থাকতে দেয়নি। এখনো আওয়ামীলীগের একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্দনেই বিএনপি খাগড়াছড়িতে দু:সাহস দেখাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সজাগ হতে আহ্বান জানিয়ে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয় করতে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।
এছারাও বরণ অনুষ্ঠানে মেয়র রফিকুল আলমকে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন ছাড়াও জেলা বিএনপির বহিস্কৃত সহ-সভাপতি আমিন শরীফ ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার আগে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে টাউন হল প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতি ভার্স্কয্যে পুষ্পমার্ল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান মেয়র রফিকুল আলম।

প্রসঙ্গত, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম এবং শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমের সহোদর মেয়র রফিকুল আলম যুবলীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও ২০১১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পৌর নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন রফিকুল আলম। দীর্ঘসময় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন মেয়র রফিকুল আলম।