‘যারা চায় না চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করি, তারাই হুমকি ধমকি দিচ্ছে’ আকরাম

0
109

চট্টগ্রামে না আসতে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার মনোনীত কাউন্সিলর আকরাম খান।

রোববার চট্টগ্রাম ক্লাবে বিসিবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

আইসিসি ট্রফিজয়ী বাংলাদেশ দলের এ অধিনায়ক বলেন,‘আমাকে এবং আমার আত্মীয় স্বজনকে উড়ো চিঠি দিয়ে, ফোন করে, মেইল করে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে বলা হচ্ছে আমি যেন চট্টগ্রামে না আসি। আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

কারা এ হুমকি দিচ্ছে জানতে চাইলে আকরাম খান বলেন,‘যারা চায় না আমি চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করি, তারাই এসব হুমকি ধমকি দিচ্ছে।’

‘চট্টগ্রামে না আসতে আকরাম খানকে হুমকি’হুমকি ধমকি দিয়ে আকরাম খানকে টলানো যাবে না উল্লেখ করে বলেন,‘এগুলো আমি কেয়ার করি না। কারো হুমকি ধমকিতে আপোষ করবো না। চট্টগ্রামের ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করে যাবো।’

মাসখানেক আগে নজিরবিহীনভাবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার টুর্নামেন্ট আয়োজনের খরচের টাকা জমা হয়েছে বিসিবি পরিচালক আকরাম খানের ব্যক্তিগত হিসাবে। নিয়মানুযায়ী খরচের টাকা বিসিবি’র তহবিল থেকে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার হিসাবে জমা হওয়ার কথা। অন্য ছয়টি বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু চট্টগ্রামে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় চট্টগ্রামে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠকরা।

এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন,‘বিসিবি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার হিসাবে টাকা দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই হয়েছে। কো‍থায় কোন খাতে কত টাকা খরচ করা হচ্ছে সব হিসেব বিসিবিকে দেওয়া হবে।’

আকরাম খানের পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিসিবি’র আরেক পরিচালক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন,‘বিসিবি’র টাকা কার হিসাবে দিল এটা নিয়ে বির্তক উঠার কোন প্রশ্নই উঠে না। টাকাটা যথাযথ ব্যবহার হলো কিনা এটাই দেখার বিষয়। তা যদি না হয় তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে। মূল ব্যাপার হলো বিসিবি’র পরিচালক নির্বাচনের সময় আকরাম খানের নিকটাত্মীয় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে একটু মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। তিনিও একসময় বিসিবি পরিচালক ছিলেন। নির্বাচনের সময় এধরণের সমস্যা একটু আধটু হয়। এরই সুত্র ধরে এ বিতর্ক তৈরি হয়েছে।’