যেভাবে কমবে ওজন?

0
63


১. সুস্থ শরীর চালাতে প্রোটিনের ভূমিকা আমাদের অজানা না। আর দুধ সেই প্রোটিনের সম্ভার। দুধে ক্যাফেইন, আলবুমিন ও গ্লোবিউলিন প্রোটিন উপস্থিত। যা ক্ষুধার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু হরমোন রয়েছে যা নিঃসরণ করে দুধ খাবারের চাহিদা কমাতে সাহায্য করে।
২. হাড় ও দাঁত মজবুত করা ছাড়াও ওজন কমাতে ভূমিকা রয়েছে ক্যালসিয়ামেরও। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত, দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাচন ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যালোরি ক্ষয়ে সাহায্য করে।
৩. দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন), যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেই। এছাড়া বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য শক্তির যোগান দিতেও এর ভূমিকা অসীম।
৪. প্রোটিন হজম করতে শরীরে বেশ সময় লাগে। সুতরাং দুধের প্রোটিন হজম করতে গিয়ে অকারণে ক্ষিদে পাওয়াও কমে যায়। এতে পেট ভরা থাকায় অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেতে প্রয়োজন হয় না।
৫. সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দুধে থাকা লিনোলেনিক অ্যাসিড শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
৬. যারা নিরামিশাষী তাদের খাদ্য তালিকায় দুধ অনিবার্য। গরুর দুধ ছাড়াও, ছাগলের দুধ, মোষের দুধেও সমান প্রোটিন বহন করে। দুধের তৈরি প্রোটিন শেক বা দুধ দিয়ে তৈরি ওটসও সাহায্য করবে সুস্থ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে। তবে বাজারের বিভিন্ন ফ্লেভারের দুধ এড়িয়ে চলতেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই সমস্ত কৃত্রিম দুধে শর্করার পরিমাণ এতটাই বেশি দেওয়া থাকে যে তা শরীরের ওজন বাড়াতে কাজ করে।
অনেকের শরীরে দুধ খাওয়াতে অ্যালার্জি হতে পারে। ল্যাকটোজে যাদের শরীরে সমস্যা দেখা যায়, তাদের জন্য দুধ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
তবে, শুধু দুধেই যে ওজন কমে যাবে এমনটা ভাবলে কিন্তু হবে না। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এক থেকে দুই গ্লাস দুধের সঙ্গে শাকসবজি ও ফলও রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘণ্টা ব্যায়ামের অভ্যাস থাকা একান্ত জরুরি।