যেভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো প্রিয়া সাহার

0
164

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ করে সমালোচিত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা তার অবস্থান ব্যক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন।

নিজের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ‘শার’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ৩৫ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তায় প্রিয়া সাহা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

ভিডিওতে ওপাশ থেকে লাইভে এক সাংবাদিক প্রিয়া সাহাকে প্রশ্ন করেন, ‘ট্রাম্পকে এমন নালিশের বিষয়ে দেশের অনেকেই বলছেন – এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড পাওয়ার স্বার্থ জড়িত আপনার।’

জবাবে প্রিয়া সাহা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েন, গ্রিনকার্ড পেতে কী আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে হয়?

তিনি বলেন, ‘আমেরিকা আমি অনেকবার এসেছি, থেকেছি। এখানে থাকার ইচ্ছা নেই আমার।’

সাংবাদিক তখন জিজ্ঞেস করেন, তবে বাংলাদেশে ফিরতে চান কিনা!

জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘অবশ্যই দেশে ফিরব আমি। আমি বাংলাদেশেই থাকতে চাই। শেখ হাসিনার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমৃত্যু কাজ করে যাব আমি।’

এর পর সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আপনার দেখা হলো কিভাবে?

জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আসলে ঘটনার ৪০ মিনিট আগেও জানতাম না যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারব!’ তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল ওভাল অফিসে। সেখানে আমার একটা প্রেজেন্টেশন ছিল। আমি সেটি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলাম। ওই অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে নির্মল রোজারিও, নির্মল চ্যাটার্জি ও সুজিত বড়ুয়া ও এলিনা খান উপস্থিত ছিলেন। আমার প্রেজেন্টেশন শেষ হলেই একজন আমাকে ডেকে হোয়াইট হাউজে নিয়ে যাবেন বলে জানান। অনুষ্ঠান তখনও চলমান ছিল।’

এর পর তিনি বলেন, ‘স্যাম ব্রাউঞ্জ ব্র্যান্ডের নেতৃত্বে গাড়িতে চড়ে সবাই মিলে হোয়াইট হাউজে গেলাম। একটা রুমে অবস্থানের পর জানতে পারলাম যে, পাশের রুমেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আসবেন, তার সঙ্গে আমাদের দেখা হবে। সেখানে ব্যাজ পরানো হলো, নাম্বারিং করা হলো আরও কিছু প্রটোকল মানা হলো। এরপর পাশের রুমে ঢোকানো হলো। সেখানে গিয়ে দেখলাম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বসে আছেন।’

প্রিয়া সাহা যোগ করেন, ‘ট্রাম্পকে দেখে আমার ধারণা হলো, তিনি একটা বক্তব্য দেবেন। সেটি আমেরিকায় প্রচার হবে আর আমরা পেছনে দাঁড়িয়ে থাকব।একটু পরে দেখলাম আমাদের সঙ্গে আসা অনেকেই কথা বলছেন। তখন আমারও ইচ্ছা জাগল যে, আমি যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কিছু কথা বলতে পারতাম! বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মৌলবাদীর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করছে তা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে যদি জানাতে পারতাম।’

সে লক্ষ্যেই আমি সেখানে সংখ্যালঘু বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছিলাম।

সেই ভিডিওটি কিভাবে ভাইরাল হলো সেই প্রশ্নে প্রিয়া বলেন, ‘সেখানে অনেক মিডিয়া ছিল। কিন্তু ভিডিওটি কিভাবে ভাইরাল হলো তা আমি বলতে পারব না। আমার এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।’