রমজানে লোডশেডিং এর কবল থেকে দেশবাসী রক্ষার আবেদন

0
134

প্রতিদিন লোডশেডিংয়ে জনগণকে দারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে লোডশেডিংয়ের কথা না বলে পারছিনা। বাংলাদেশে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করছে। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় এবং পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলার সময়ও এর কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। উন্নত দেশ গুলোতে বছরে একবারও লোডশেডিং হয়না, কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন বহুবার লোডশেডিংয়ের কারণে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কলকারখানায় উৎপাদনে ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। টিবি ফ্রিজসহ ইলেকট্রনিক পণ্য নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ ঘাটতির এ দেশে বহু পরিবারকে এখনো বিদ্যুৎহীন জীবন যাপন করতে হচ্ছে। যেখানে বিদ্যুৎ আছে সেখানেও ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সে জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে । যতদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা না হয় তত দিন অন্তত বিদ্যুৎ ব্যবহার ব্যবস্থাপনায় সচেতন হয়ে সুশৃঙ্খল নিয়ম করা দরকার। যাতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয় ও অল্পতেই মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হয়। বিদ্যুৎ যাওয়া আসার একটি রুটিন করে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জনগণকে জানিয়ে দেওয়া দরকার। যাতে বিদ্যুৎ থাকাবস্থায় লোকজন কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে ও প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করে নিতে পারে। তা না হলে বিদ্যুৎ না থাকাবস্থায় বিদ্যুৎ আসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়, কাজ করার লোকজন এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করতে চলে যায় অথবা চা-নাশতা ও ভাত খেতে চলে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ এলে সেই বিদ্যুৎ কোন কাজে আসেনা, তখন বিদ্যুৎ অপচয় হয়।

যে সময়ে বিদ্যুৎ দিলে জনগণের অধিক কল্যাণ হবে, সে গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলোতে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান করছি। যেমন : সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময়, পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজের সময়, ইফতার ও সেহ্রির সময়, মাগরিবের পর থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত চলাকালে ও শিল্প কলকারখানায় উৎপাদনের সময়, দিনে ও রাত্রি বেলায় বিদ্যুৎ কোন সময় থাকবে-সে সংবাদটি আগে জানিয়ে দিলে বিদ্যুৎ থাকাবস্থায় জনগণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করে নেবে ও বিদ্যুতের সমস্যার কবল থেকে দেশবাসী রক্ষা পাবেন।

>>বাবলা, ইপিজেট শাখা মানবাধিকার-চট্টগ্রাম।