রাউজানে ১৯ তম বিশাল জসনে জুলুছ অনুষ্ঠিত নবী প্রেমীকদের ঢল

0
173

 

শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ উত্তর চট্টগ্রামের বিশাল ১৯ তম জসনে জুলুছ রাউজানে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নবীপ্রেমীকদের ঢল নেমেছিল। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত হলদিয়া ডাবুয়া কতৃক আয়োজিত বিশাল এ জুলুছে নেতৃত্ব দেন গর্জনীয়া ফাযিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ পীরে তরিকত সৈয়দ আলহাজ্ব আল্লামা আহসান হাবীব (মা.জি.আ)। প্রতি বছরের ন্যায় পায়ে হাটা পরিবর্তন করে মোটরযোগে উত্তর সর্তা দরগাহ বাজার হতে ফটিকছড়ির কোটের পাড়, তকিরহাট, রাউজান নোয়াজিষপুর, দলইনগর, কালাচান্দাহাট ব্রীজ, গহিরা চৌহমুনী হয়ে রাউজান সদরের মুন্সিরঘাটা, আদালত ভবন, সেবাখোলা, চৌধুরী বটতল হয়ে এয়াছিন শাহ্ পাবলিক কলেজ ময়দানে জুলুছের সমাপ্তি ঘটে। বিশাল এই জসনে জুলুছে হাজার হাজার আশেকে রাসুল অংশগ্রহণ করে। নারায়ে তাকবীর, নারায়ে রেছালাত স্লোগান ও বিভিন্ন নাত শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমগ্র এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সকাল ৭টা থেকে নবী প্রেমীকরা ব্যানার, ফেস্টুন, কালেমা ও দরুদ শরীফ সম্ভলিত পতাকা নিয়ে উপস্থিত হতে থাকে দরগাহ বাজারে। শিশু থেকে শুরু করে বয়বৃদ্ধ পর্যন্ত এই জুলুছে অংশগ্রহন করে। এই জুলুছ কে কেন্দ্র করে রাউজানে ব্যাপক আনন্দ পরিলক্ষিত হয়। স্কুল কলেজ মাদ্রাসার পাশাপাশি সাধারন জনসাধারন এই জুলুছে শরিক হয়ে এলাকাবাসীকে জানান দে আজকে মোদের খুশির দিন, সকল ঈদের সেরা ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)।
জুলুস পরবর্তী আলোচনা সভা কলেজ মাঠে অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জুলুছ কমিটির মহাসচিব ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম ও সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী আকবর তৈয়্যবীর যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ইহরাম হজ্ব কাফেলার পরিচালক আল্লামা গোলাম মোস্তফা শায়েস্তা খান আল আযহারী। বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা এস এম বাবর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আল্লামা ইদ্রিছ আনছারী, স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংবাদিক মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন। এতে মিলাদ কিয়াম পরিচালনা করেন সাবেক সচিব মাওলানা মুনছুর আলম নেজামী।
এতে উপস্থিত ছিলেন গর্জনীয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা সাঈদুল আলম খাকী, মাওলানা কলিম উল্লাহ নুরী, আল্লামা সোলায়মান মকবুলী, আল্লামা ইয়াছিন হোসাইন হায়দারী,জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, মেম্বার শামসুল আলম চৌধুরী, আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী ছিদ্দিকী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম রেজভী, মাওলানা শামসুল আলম নঈমী, আলহাজ্ব আবদুচ সালাম মাস্টার, আল্লামা বাহাউদ্দিন ওমর, তরুন রাজনীতিক জিয়াউল হক চৌধুরী সুমন, মেম্বার মোহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ সাহাবু সওদাগর, সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, আল্লামা নুরুল আবছার রেজভী, আলহাজ্ব সোলায়মান চৌধুরী, মাস্টার জামাল উদ্দিন, গাউছিয়া কমিটির সভাপতি হোসেন মাস্টার, মওলানা আব্দুল মালেক, আলহাজ্ব নুরুল হুদা মেম্বার, ক্বারী মাওলানা ওসমান গণী, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, মাস্টার ফরিদুল আলম, যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ মনছুর, মাওলানা দিদারুল আলম ক্বাদেরী, মাওলানা ইয়াছিন ভান্ডারী, মুহাম্মদ নুরুল হায়দার, মাওলানা আহমদ হোসেন রেজভী, মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, আবুল হাসেম রেজভী, মাওলানা সৈয়্যদ লুৎফুর রহমান, সৈয়দ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ওসমান, মাওলানা জাফর নুরী, মাওলানা জিলহাজ্ব উদ্দিন, মওলানা আবছার উদ্দিন, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা আবুল বশর ভান্ডারী, মাওলানা তাজ মুহাম্মদ রেজভী, মাওলানা মামুন, হাফেজ ওমর ফারুক, মাওলানা শফি, মাওলানা সালেহ আকবর, মাওলানা রফিক, হক কমিটির সেক্রেটারী মাস্টার জাকের হোসেন, সর্তারকুল দায়রা শাখার সভাপতি মামুন মিয়া, নাজিম উদ্দিন মাইজভান্ডারী, প্রবাসী আব্দুল কাদের, মাওলানা মুনছুর আলম রেজভী, গাউছিয়া কমিটির ইলিয়াছ তাহেরী, মওলানা নেজাম তৈয়্যবী, শায়ের মাওলানা আব্দুল মাবুদ, মাওলানা মোজাম্মেল হোসাইন, শায়ের মুহাম্মদ মিনহাজ্ব, মুহাম্মদ জাবেদ, শায়ের মো. জিয়া উদ্দিন, শায়ের মো. ওসমান, ছাত্রসেনা নেতা সাদ্দাম হোসেন, মুসা মাহমুদ, কুতুব উদ্দিন, জমির উদ্দিন সানী, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন,কামাল উদ্দিন, মাওলানা ইকবাল হোসেন, মুহাম্মদ মমতাজ ড্রাইভার। পরে আখেরী মোনাজাত ও তাবারুক বিতরন করা হয়।