রাউজান প্রেস ক্লাবের অবস্থান কর্মসুচী পালন

0
58

হাটহাজারী প্রেস ক্লাবের নিন্দা জ্ঞাপন
শফিউল আলম, রাউজান: রাউজান প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি ও রাউজানবার্তা২৪.কম পত্রিকার ব্য.সম্পাদক সাহেদুর রহমান মোরশেদ সহ তার চার ভাই ও তার পরিবারের মহিলা সদস্যদের শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টা থেকে তিনটার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, নোয়াপাড়া সামহালদার পাড়ার মৃত জালাল খায়ের এর ছেলে লোকমান আলী সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদ এর ভাই ব্যাবসায়ী সাদেকুর রহমান এর কাছ থেকে ২৮ লাখ টাকা আর্ত্বসাৎ করলে গত ৩১ আগষ্ট তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন (সি আর মামলা নং-১১৯/২০১৫)। মামলা দায়েরর পর থেকে সে ও তার ভাই লেয়াকত আলী ও মোহাম্মদ আলী মামলা প্রত্যাহার না করলে সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদ ও তার ভাইদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে রাউজান থানার একদল পুলিশ কোন কারন বা ওয়ারেন্ট না দেখিয়ে তার তিন ভাই নোয়াপাড়া ভারতশ্বরী রহমানিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক স্বনাম ধন্য ব্যাবসায়ী সাদেকুর রহমান, একই প্রতিষ্টানের পরিচালক আনিছুর রহমান রুবেল, পরিচালক মুশফিকুর রহমানকে কোন ওয়ারেন্ট না দেখিয়ে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল আটক করে নিয়ে যায়। সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদ এর ধারনা তাকে ও তার ভাইদের হয়রানী করতে লোকমান আলী ও তার ভাইয়েরা মিথ্যা মামলা সৃজন করেছে।
লোকমান আলীর দায়ের কৃত মামলার এজাহারে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে পাচঁটার সময় রাউজানের নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিমে চৌধুরী হাট সড়কে সাংবাদিক মোরশেদ ও তার ভাই লোকমান আলীকে ধরে মারধর করে । তার কাছ থেকে একটি অঙ্গিকার নামার কাগজ ছিনিয়ে নেয় ঘটনা উল্লেখ করেন। এলাকার লোজনের কাছে জানতে চাইলে এলাকার লোকজন এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বা শুনেনি বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। ঘটনার সময়ে সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদ রাউজান প্রেস ক্লাব সভাপতি তৈয়ব চৌধুরীও সাধারন সম্পাদকএস এম ইউছুপ উৃদ্দিনের সাথে বসে রাত নয়টা পর্যন্ত নোযাপাড়া পথের হাটে বসা ছিল বলে রাউজান প্রেস ক্লাব সভাপতি তৈয়ব চৌধুরী জানান ।
সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদ আরও অভিযোগ করেছে একই রাতে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার পরিবারের মহিলা সদস্যদের শারীরিক নির্যাতন ও নগদ টাকা, স্বর্নলংকার লুঠে নিয়ে গেছে। এই ব্যাপারে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

রবিবার সকালে সাংবাদিক মাহেদুৃর রহমান মোরশেদকে তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও সাংবাদিক মোরশেদের পরিবারের তিন সদস্যকে পুলিশ আটক করে রাউজান থানায় নিয়ে আসার সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকেরা রাউজান থানায় আসলে রাউজান থানার ওসি প্রদপি কুমার দাশঁ অফিসে না এসে বাসায় বসে থাকে সাংবাদিকেরা ফোন করে বিষয়টি জানতে চ্ইালে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ লোকমান আলী রাতেই মামলা দেওয়ার পর সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদের ঘরে রাত দুইটার সময় এস আই আমজাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হানা দিয়ে সাংবাদিক মোরশেদের তিন ভাই সাদেকুর রহমান, একই আনিছুর রহমান রুবেল, মুশফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেন । রাউজান থানার এস আই আমজাদ আলী জানান, গত শনিবার বিকালে ঘটনার পর রাত একটার সময়ে সাংবাদিক মোরশেদ ও তার দুই ভাই ভাই সাদেকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান সহ াজ্ঞাতনামা চার পাচঁজনের বিরুদ্বে থানারয় মামলা করেন । মনিয়মিত মামলা রেকর্ড হওয়ার পর আমি রাতেই অভিযাণ করে সাংবাদিক মোরশেদের তিন ভাই সাদেকুর রহমান, একই আনিছুর রহমান রুবেল, মুশফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে রাউজান থানায় নিয়ে আসি । সাংবাদিক মোরশেদের তিন ভা য়ের মধ্যে সাদেকুর রহমান, মুশফিকুর রহমানকে গতকাল আদালতে সোর্পদ করা হয় । মামলার এজাহারে আনিসুর রহমান রুবেলে নাম না থাকায় তাকে গতকাল বিকালে ছেড়ে দেওয়া হয় । সাংবাদিক মোরশেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্বে মামলা দায়ের কারী লোকমান আলী (সি আর মামলা নং-১১৯/২০১৫)মামলার গ্রেফতারী পরেয়ানভুক্ত আসামী । গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী লোকমান আলী রাউজান থানায় হাজির হয়ে কিভাবে মামলা করলেন গভীর রাতে তা রহস্যজনক । গতকাল রবিবার সকাল থেকে সাংবাদিক মোরশেদের দুই ভাই সাদেকুর রহমান, মুসফিকুর রহমানকে আদালতে পাঠাতে রাউজান থানা পুলিশ সময় কালক্ষেপন করে থানায় পুলিশ নেই এই অজুহাতে বিকাল ২টার সময় আদালতে প্রেরণ করেন । রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সহকারী চিকিঃসক জুবায়ের জানান গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটের সময়ে রাউজান থানার এক পুলিশ অফিসার লোকমান আলীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে গিয়ে লোকমান আলীকে মারধর করে আহত করেছে মর্মে জরুরি বিভাগের রেজিষ্ট্রারে নাম লিখিয়ে মামলা করার জন্য একটি সনদ নেয় । সাংবাদিক সাহেদুর রহমান মোরশেদ তার তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলার আশংকা করলে গত ৯ তারিখ আধুনিক রাউজানের রুপকার এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপিকে রাউজানে কর্মরত প্রায় সকল সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এমপি সাহেবকে বিষয়টি অবগত করে। তখন এমপি সাহেব সাংবাদিকদের উপর কেউ অন্যায় জুলুম বা কোন ধরনের মিথ্যা হয়রানি করা ব্যাক্তিকে ছাড় দেয়া হবে না বলে সাংবাদিকদের জানান।