শওকত বাঙালি ২০১৪ সাল হবে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কার্যকর এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার বছর

0
112

রাউজান বিজয়মেলার আলোচনা সভার সমাপনীতে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের সর্বত্র পরাজিত করার শপথের মধ্য দিয়ে রাউজানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গতকাল মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে।
জাতির দুঃসময়ে একাত্তরের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সূচিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকেরা আজ পরিপূর্ণ সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা জাতির প্রয়োজনে পূর্বসুরীদের মতোই জীবন বাজি রেখে দেশকে রাজাকার মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত করার সংগ্রামে অবিচল।
৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৮টায় রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আলোচনা সভার সমাপনী দিনে রাউজান বিজয় মেলা উদ্যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পৌরমেয়র শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর সভাপতিত্বে এবং রাউজান বিজয় মেলা উদ্যাপন পরিষদের সচিব মুক্তিযোদ্বা আবু জাফর চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সহায়ক মঞ্চের সদস্য সাংবাদিক-সংগঠক শওকত বাঙালি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন খাঁন, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা প্রদীপ দাশ, বিশিষ্ট রাজনীতিক কলামিস্ট ও জেলা নির্মূল কমিটি নেতা অধ্যাপক মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ইকবাল, আনোয়ারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, রাউজান পৌর সভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম শাহজাহান, দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আযম মুনির। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল র্নিমুল কমিটি জেলা নেতা সাব্বির হোসাইন, যুবলীগ নেতা গৌতম পালিত টিকলু, এস এম মহিবউল্ল্যাহ, হাসান মো. রাসেল, সারজু মো. নাছির, নাছির উদ্দিন, আহসান হাবিব চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম শেখর, মিটু চৌধুরী, জাবেদ রহিম,আবদুল লতিফ, আবু ছালেক, ছাত্রলীগ নেতা অনুপ চক্রবর্তী, ইমরান হোসেন ইমু, রাজিবুল হাসান রাজু, এনাম, মো. আসিফ, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবউদ্দিন বলেন, ৭১ সালে বাঙালিরা যেভাবে দেশকে স্বাধীন করে পাকহানাদার বাহিনীকে বিতারিত করেছিল তেমনিভাবে পাকিস্তানের দালাল রাজাকার আলবদরদেরকেও এই দেশ থেকে বিতারিত করে এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে বাংলার দামাল ছেলেরা।
প্রধান বক্তা শওকত বাঙালি বলেন, ২০১৪ সাল হোক বাঙালির কলঙ্কমুক্তির বছর। সকল যুদ্ধাপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর এবং সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বছর। এসবের জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী। বর্তমানে দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বহুধা বিভক্ত অপরদিকে বিপক্ষ শক্তি ঐক্যবদ্ধ।
সভাপতির বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আপামর জনগণ পুনরায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অসমাপ্ত কার্যক্রম সমাপ্ত করবে।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ও শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।