রুহুল আমিন নিজে কাঁদলেন অপরকে কাঁদালেন!

0
74

কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মসনদ নিজের কব্জায় নিয়ে নিলেন বাপের বেঠা রুহুল আমিন
এ.এম হোবাইব সজীব, মহেশখালী থেকে :
এই প্রথমবারের মত উৎসব মূখর পরিবেশে সুষ্ট জেলা পরিষদের নির্বাচন গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার অনুষ্টিত কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী মাস্টার রুহুল আমিন সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়ে মসনদ নিজের কব্জায় নিয়ে নিলেন। মাস্টার রুহুল আমিনকে মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বেসরকারী ফলাফলে বিজয়ী ঘোষণা করলে মুর্হুতের মধ্যে তার কর্মী সমর্থকদের করতালিতে ও জয় বাংলা জয় বঙ্গ বন্ধু শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। সে সময় অনেক ভক্ত আশিকী দলীয় নেতা কর্মীদের ধরে মাস্টার রুহুল আমিন খুশিতে আত্মহারা হয়ে নিজে কাঁদলেন অপরকে কাঁদালেন। এর আগে ভোট চলাকালে মাতারবাড়ীর চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাস্টার মোঃ উল্লাহসহ আওয়ামীলীগের অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্রে এলাকায় বিশাল একটি শোডাউন ভোটারদের তাক লাগিয়ে দেয়।
এই প্রথমবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা প্রার্থীকে ৩ ভোটে পরাজিত করে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছেন তিনি। নিরস্কুশ বিজয়ে দারুন উৎফুল মাস্টার রুহুল আমিন। মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নকে নিয়ে করা হয়েছে ২ নং ওয়ার্ড। এ ৫ ইউনিয়নের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে অনেকেই মনে করেছিলেন এবারের নির্বাচনে মাস্টার রুহুল আমিনের জন্য জয় পাওয়া অনেকটা কঠিন হবে। কিন্তু সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি ৫ বছরের জন্য উত্তর মহেশখালী বাসীর পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে মসনদ নিজের কব্জায় নিয়ে এসেছেন। তাই তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে সকল পেশার মানুষের কাছে।
নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মোঃ কামাল ও আ.লীগের প্রার্থী মাস্টার রুহুল আমিন দু’জনেই ক্লিন ইমেজের প্রার্থী ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর দল ক্ষমতায় আছে। তবে দলবাজী, টেন্ডারবাজীসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক পরিচালনায় তিনি অনেকটা অভিভাবকের ভুমিকায় ছিলেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য তিনি দলের চেয়ে প্রধান্য দিয়েছিলেন ব্যক্তিকে। এছাড়া আ.লীগের এ কর্ণধার হিসেবে পুরো মহেশখালীসহ তার জন্মভূমি মাতারবাড়ী ইউনিয়নে তার রাজনৈতিক বিচরন ছিল চোখে পড়ার মত। সমাজ সেবা ও সামাজিক কর্মকান্ডে সব সময় তৎপর ছিলেন। যার প্রমাণ ঘঠেছে সম্প্রতি অনুষ্টিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে।
নির্বাচনী বৈতরনী পার করতে তার সততা ন্যায়পরায়ণতা রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও কাজ করেছে। নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান ছিল অল্প মাস্টার রুহুল আমিনের সাথে। সাধারণ ভোটাররা ধারনা করেছিলেন পরাজিত প্রার্থী মোঃ কামাল ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সততাকে কাজে লাগিয়ে মোঃ কামাল জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হবেন। তবে অধরা থেকে গেছে কামালের জন্য মসনদ। মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাস্টার মোঃ উল্লাহ বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মাতারবাড়ী বাসী ভোট দিয়ে বিজয় করার যে অঙ্গিকার করেছিল তা ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়ে মাতারবাড়ীর মান রেখে জেলা পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে মাস্টার রুহুল আমিনকে ।
এলাকাবাসী মাস্টার মো: রুহুল আমিনকে প্রবীণ রাজনৈতিকবিদ নির্লোভ ব্যাক্তি ছাড়াও সৎ মিষ্টিভাষী হিসেবে জানে। গত কয়েক বছরে তার আচার আচরনে মাতারবাড়ীতে গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনীয় প্রশংসীত হয়েছেন। যার প্রমান মিলেছে এবারের নির্বাচনে ব্যালটের প্রতিফলনের মাধ্যমে। মাতারবাড়ী ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব উদ্দিন ও ছাত্রলীগ নেতা কাইছার, স্থানিয় মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন ও জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন ৫ ইউনিয়নের ভোটার ও মুরব্বিরা তরুণ ও যুব সমাজসহ সাধারণ মানুষ আব্দার করছে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করতে মাস্টার রুহুল আমিনকে। তিনি এলাকার গরিব দু:খী মানুষের কথা চিন্তা করে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন। এবং তারা তাকে কথা দিয়ে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছেন এ নেতার আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা। মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জি,এম ছমি উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা এস.এম আবু হায়দার বলেন, এই জয় মাতারবাড়ীসহ ৫ ইউনিয়ন বাসীর জয়। মাতারবাড়ী বাসীর ভোট কেন্দ্রে সরব উপস্থিত সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে। তা ছিল মাস্টার রুহুল আমিনের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
জানতে চাইলে বিজয়ী প্রার্থী মাস্টার রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি কৃতজ্ঞ, আমি অভিভূত, অনুষ্টিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ট পরিবেশে সকলে ভোট দিতে পেরেছে। এবং যারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আর এই জন্য সাংবাদিক নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানাই। যারা সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য মুত্যুর ঝুঁকির সত্বে ও অতন্দ্র প্রহরী ভূমিকার রেখেছেন আমি সেই জাতীর বিবেক কলম সৈনিকদের শ্রদ্ধের সাথে স্মরণ করি। ৩২ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী পাকা প্রর্তীক মাস্টার রুহুল আমিন, তার নিকটম প্রতিদ্বন্ধি তালা প্রতীক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ কামাল উদ্দিন ২৯ ভোট পেয়েছেন। তবে দুই জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়ে জয়ের মালা নিয়ে নিলেন মাস্টার রুহুল আমিন। অপর দুই প্রার্থী প্রতিযোগিতায় আসে নাই। তবে ৩য় স্থান ধরে রেখেছে ইকবাল চৌধুরী।