লতিফের জন্য অন্যদের হুশিয়ারি দিলেন মহিউদ্দিন

0
71

লতিফকেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বিকৃতির দায়ে সরকার দলীয় বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সাংসদ এম এ লতিফকে হত্যার হুমকি দেয়ার ১৫ দিন পর এবার নমনীয় অবস্থানে নিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। হত্যার বদলে এবার আরো এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে লতিফকে কাছে পেলে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে নিজ অনুসারীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যদিও হত্যার হুমকি দেয়ার পরপরই লালদীঘির মাঠে একটি জানাজার নামাজে একই কাতারে নামাজের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে র‌্যাবের একটি অনুষ্ঠানের একই মঞ্চে বক্তব্য প্রদান ও হাতও মিলিয়েছিলেন তারা দুজন। এমনকি হত্যার হুমকি পেয়ে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় জিডিও করেছেন সাংসদ লতিফ। আর মহিউদ্দিনের অনুসারীরা রাষ্ট্রদ্রোহসহ মানহানির চারটি মামলা দায়ের করেছেন লতিফের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে ‘নাগরিক মঞ্চ চট্টগ্রাম’র ডাকে আয়োজিত দ্বিতীয় সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আরো এক মাসের সময় বাড়ানো হলো। আপনারা লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকুন, লতিফকে দেখলে মাথায় আঘাত করবেন। সাবধান! যারা কুলাঙ্গার লতিফকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন আমি তাদের চিনি। আপনারা কি চান তাও আমরা জানি। আগুন জ্বালতে যাবেন না। জনগনের মধ্যে ক্ষোভ, আর সেই ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ আজকের এ সমাবেশ।’

সিডিএ ও সিটি করপোরেশনে লতিফের পক্ষ অবলম্বন কারীরা ঘাপটি মেরে আছে অভিযোগ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সিডিএ, সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন সরকারি অফিসে যারা লুকিয়ে আছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করা হবে। তারা স্বাধীনতা বিরোধী। সরকারি কর্মকর্তারা আমাদের ভাই। কিন্তু কেউ যদি অন্যায় করে তবে কার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।’

কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর কাছে লতিফের জন্য দালালি করছেন বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘কারা পক্ষাবলম্বন করছেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তার (এম এ লতিফ) দালালি করছেন, তারা তাকে গাড়িতে করে চট্টগ্রামে আনছে আমরা তাদের চিনি। তারা সাবধান হয়ে যাবেন।’

এর আগে আল্টিমেটাম দিয়ে কাজ হয়নি তাই এবার তাঁর কর্মিদের হাতে লাঠি দেয়া হবে জানিয়ে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আগেও আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কোনো লাভ হয়নি, এবার আপনাদের হাতে লাঠি দেব। আমার কথা শোনেন, শুনে তা বাস্তবায়ন করবেন। প্রতি থানায় কমিটি করা হবে। তারা ইয়াবা-মদ ব্যবসায়ি, চক্রান্তকারী, জঙ্গি ও জামায়াত-শিবিরের তালিকা তৈরী করবেন। ওই তালিকা প্রশাসনের হাতে দেবেন। আমাকেও এক কপি দেবেন। সেই তালিকা আমাদের সমন্বয় করবো।’

এসময় সাংসদ এম এ লতিফকে মাদক চোরাচালানের গটফাদার উল্লেখ করে বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ ভালো মানুষ। কিন্তু এসব গড়ফাদারদের কারণে চট্টগ্রামে ইয়াবা ঢুকছে। সরকারকে বলেছি- যারা অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে, তারা ইয়াবা, মদ, কোকেন বিক্রি করে সল্প সময়ে তা আয় করেছে। নাম মাত্র মুল্যে সরকারি জায়গা হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে যারা টাকা আয় করেছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের সবার তালিকা আমার কাছে আছে।’