লতিফ সিদ্দিকীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

0
91

মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ সমাবেশে-মহিউদ্দিন চৌধুরী

লতিফ সিদ্দিকীকে আইনের আওতায় এনে
চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে বিদ্রুপ করে ধর্মাদ্রোহী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কর্তৃক ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক সিটি মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার অবশ্যই লতিফ সিদ্দিকীকে আইন ও বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে কোন ধর্মাদ্রোহীর স্থান নেই। আওয়ামীলী অতীতে ধর্মাদ্রোহীদের দেশ থেকে বহিস্কার করেছে। এবারও ধর্মাদ্রোহী লতিফ সিদ্দিকীকে ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলতে হবে।
আজ লালীদীঘি ময়দানে বাদ জুমা মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আলহাজ্ব এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, একজন ধর্মপ্রাণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি পবিত্র ধর্মীয় ও নৈতিক কর্তব্য পালন করে জাতিকে রক্ষা করেছেন।
বিশেষ অতিথির ভাষণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত জনগোষ্ঠী ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করে। আমরা যার যার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এদেশে কোন ধর্মাদ্রোহী আশ্রয়-প্রশ্রয় পেতে পারে না। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে যখন বিশ্বসভায় উজ্জ্বল করে চলেছেন তখন দেশি-বিদেশি চক্রান্ত্রকারী মহল বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির কু-উদ্দেশ্যে বিশাল অংকের অর্থ দিয়ে লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে ইসলাম ও নবী (স:) এর বিরুদ্ধে বিদ্রুপ মন্তব্য করানো হয়েছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই চক্রান্তকে বানচাল করে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় জাতি স্বস্থি অনুভব করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু ধর্মাদ্রোহী দাউদ হায়দার ও শেখ হাসিনা তসলিমা নাসরিনকে দেশ থেকে বিতাড়ন করেছেন। তাই লতিফ সিদ্দিকীকেও নূন্যতম ছাড় দেয়া হবে না। মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী’র ছৈয়দের সঞ্চালচনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম. মরতুজা হোছাইন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, আলহাজ্ব এনামুল হক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সি.এন.সি. শেখ শহীদুল আনোয়ার, আবু তাহের, আবদুল আহাদ, খলিল উল্ল্যাহ সরদার, পান্টু লাল সাহা, আবদুল লতিফ টিপু, সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, ফরিদ মাহমুদ, আফসার উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম, আবুল কাসেম, মো: ইয়াকুব, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নৌ কমান্ডার মো: হোসেন, রফিকুল আলম, হেলাল উদ্দিন, নেছার আহমদ, শেখ নাছির উদ্দিন, এমরান গাজী, কামরুল ইসলাম জতু, মো: সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সাহেদ মুরাদ সাকু, হোসেন সরওয়ার্দ্দী, নুরুল আজিম রনি এছাড়াও বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী ও জননেতা আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ লতিফ সিদ্দিকীর কুশপুত্তনিকায় প্রথমে ঘৃণাসূচক পাথর নিক্ষেপ ও পরে মুহুমূহু করতালির মধ্য দিয়ে দাহ করা হয়।