লাশ ফেলার হুমকি! আ’লীগের সমাবেশ স্থগিত

0
89

নেতাদের মধ্যে কোন্দল মিটিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের আজ শনিবার পূর্ব িনির্ধারিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

সকল প্রস্তুতি শেষে সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে নাটকীয়ভাবে এ কর্মসূচি স্থগিত করায় সীতাকুণ্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা আর ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জানাগেছে সমাবেশে যোগদিলে লাশ পড়বে এমন হুমকি পাওয়ার পর সমাবেশে যেতে অপারগতা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সীতাকুণ্ডে তাদের পথ সভাস্থগিত করেন।

হামলার হুমকির পরপরই সীতাকুণ্ডে যান ডিজিএফআইসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বলেন, সমাবেশের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় সমাবেশে যাচ্ছি না। সমাবেশে যোগ না দিতে কেউ হুমকি দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে কেউ হুমকি দেয়নি। তবে লোকজনের মুখে শুনেছি আমি সমাবেশে গেলে লাশ পড়বে। এরকম হুমকি দিয়েছে।

জানাগেছে সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আবুল কাসেম মাষ্টারের ছেলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মামুনের সাথে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের বিরোধ চলে আসছে।

এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

এ পরিস্থিতিতে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে সীতাকুণ্ডে দলীয় বিরোধ নিষ্পতির লক্ষ্যে কেন্দ্রের নির্দেশে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নেয়।

তার অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকালে সীতাকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে আসা নির্বাচনী বহর পথসভায় মিলিত হওয়ার কথা ছিল।

হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মামুন বলেন, আমরা কেন হুমকি দেবো..? সমাবেশ করার জন্য আমার লোকজন প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমার ৭ থেকে ৮ হাজার লোক সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা ছিল। তিনিতো (এমপি দিদার) জনবিচ্ছিন্ন, তার কোন লোকজন নেই। তাই তিনি মিথ্যা হুমকি কথা বলে সমাবেশ বন্ধ করেছেন। মামুন বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা হুমকির কথা প্রচার করা হচ্ছে। অথচ সকাল থেকে ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা পুলিশ কর্মকর্তারা এসে সরেজমিনে দেখেছেন এখানে হুমকি বা সে ধরণের কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম বলেন, কেন সীতাকুণ্ডের পথসভা স্থগিত করা হয়েছে আমি জানি না। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে স্থগিত করা হয়েছে। হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।

বিষয়টি জানার জন্য পুলিশের সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি সম্পারানী সাহার অফিসিয়াল মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করে বার বার কেটে দিয়েছেন।

তবে সীতাকুণ্ড থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। তবে সমাবেশ স্থগিত করার বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়নি। আমি বাইরে থেকে শুনেছি সমাবেশ হবে না। তবে কেউ কোন ধরণের হুমকির বিষয়ে আমাদেরকে অভিযোগ করে নি।