শবে বরাতে বাসায় ইবাদত বন্দেগীতে ব্যস্ত মানুষ

0
223

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ

মির্জা ইমতিয়াজ শাওন:: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সারাদেশে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যর মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। মহামারী করোনাভাইরাস এবার পাল্টে দিয়েছে পবিত্র শবে বরাতের রাতের এ সকল চিরচেনা দৃশ্যকে। এবার মসজিদে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে মুসল্লি বেশি নেই। বরাতের রাতে মসজিদ বা কবরস্তানের সামনেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। বিগত দিনে এমন চিত্র ছিল। এবার করোনায় হয়েছে সবকিছু ব্যতিক্রম।

করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে শবে বরাতের রাতে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করার সাথে সাথে কবরস্থান বা মাজারে জনসমাগম না করার জন্য দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

পবিত্র ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’। আজ (৯ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুসলিম উম্মাহের মাঝে আবারও ফিরে এসেছে মহিমান্বিত সেই রাতটি। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতকে চট্টগ্রামসহ পুরো বিশ্বের মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে জিকির ও ইবাদত-বন্দেগি করেন। এই মর্যাদাপূর্ণ রাতে মহান আল্লাহ বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন এবং অসংখ্য পাপী বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।

করোনাভাইরাসের কারনে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নামাজের প্রতি ওয়াক্তে মসজিদে ৫ জন মুসল্লি ও জুম্মার নামাজে ১০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে চট্টগ্রাম শহরের মসজিদে এটি পালন করতে দেখা যাচ্ছে। এই আহ্বান মেনে শবে বরাতের রাতে বাসাতেই নফল নামাজ, কালেমা, তওবা ও ইসতেগফার আদায় করছেন তারা।

যার কারণে আজ শবে বরাতের রাতে চট্টগ্রাম’র মসজিদে মসজিদে ছিল না কোন জিকির-আযকার। নামাজেও মুসল্লি ছিলেন একেবারে কম। নগরীর দরগাহ মাজারের গেট বুধবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরের পাড়ার মসজিদে ছিল না কোন জিকির, বিশেষ দোয়া কিংবা ওয়াজ মাহফিল।

কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ বসে নেই। এশার নামাজ পরে শরের প্রায় প্রতিটি মসজিদ থেকে ইমামগণ দোয়া করেন। এছাড়া বাসায় বসে ইবাদত করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অনেকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বাসায় বসে দোয়া, দুরুদ পাঠ, নফল নামাজ সহ বিভিন্ন ধরণের ইবাদত বন্দেগী করছেন। এবারে মানুষের কান্না ছিল না মসজিদে। তবে এ কান্না ফুঁপিয়ে কেঁদেছে চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বাসায় বসে। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে শবে বরাতের রাতে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেছেন সবাই।

করোনা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে মানুষের কান্না এবার ছিল একটু বাড়তি। প্রবাসী অধ্যুষিত চট্টগ্রামের অনেক মানুষ বসবাস করেন মধ্যপ্রচ্যসহ বিভিন্ন দেশে। এসব প্রবাসীদের জন্য বাড়তি দোয়া ছিল এবারের শবে বরাতে। পাশাপাশি সারা মুসলিম উম্মাহ সহ সকল যাতে মরণব্যধি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচা যায় এমন দোয়ায় অনেকের কান্নায় বুক ভেসেছে। ঘরে বসে ইবাদত-বন্দেগী কোরআন পাঠ করে সময় পার করছেন। এবং সেহেরী করে রোজার নিয়তের পর ফজরের নামাজ শেষে বিশ্রাম নেবেন।