এস আলমের সাথে শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার প্রতারণা

0
55

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের ২৩৩ জন হাজীর সাথে প্রতারণার ও হয়রানীর অভিযোগে

মেসার্স শাহ আমানত হজ্ব কাফেলা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস নামে একটি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের নোটিশ দেয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে এস আলম গ্রুপের পক্ষে মানবাধিকার আইনজীবী এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান আজ উক্ত নোটিশ প্রদান করে । এতে সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ধর্মীয় কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে প্রতি বছর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের একটি দল হজ্বে পাঠান এস আলম গ্রুপ। এবারও ২৩৩ জনকে সৌদী আরবে পাঠানো হয় মেসার্স শাহ আমানত হজ্ব কাফেলা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর মাধ্যমে।

উক্ত কাফেলার মাধ্যমে ২৩৩ জন হাজির মধ্যে এ ক্যাটাগরির ৩,৬০,০০০/= জনপ্রতি হিসেবে যাবতীয় ব্যায় বাবদ গত ২২/১১/১৬ নং তারিখের চুক্তি মোতাবেক ৮,৩৮,৮০,০০০/= টাকা তাদের প্রদান করা হয় ।

গত ০৭/০৮/১৭ ইং তারিখে এস আলম গ্রুপের তালিকাভুক্ত হাজিদের পবিত্র মদিনা মনোয়ারায় পৌঁছানো হয় । কিন্তু তাদের নির্ধারিত হোটেলে না রেখে বিভিন্ন নন এসি রুমের এক একটি কক্ষে ৮/১০ জন হাজীকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয় যেখানে এটাচ বাথরুমও নেই । এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । তাদেরকে বার বার হোটেল পরিবর্তন সহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় ব্যাগ ব্যাগেজ নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে । চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে শাহ আমানতকে প্রদত্ত নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজীদের চুক্তি মোতাবেক যাবতীয় সেবা নিশ্চিত করতে সময় বেঁধে দেয়া হয় ।

অন্যথায় মেয়াদগতে ২০০ কোটি টাকা সুনামক্ষুণ্ণের এবং প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে ফৌজদারী ও দেওয়ানী আদালতে যুগপৎ মামলা দায়েরর ব্যপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় ।

যাদের প্রতি আইন নোটিশ দেয়া হয় তারা হলেন শাহ আমানত হজে কাফেলার এম. ডি মোহাম্মদ ইয়াছিন, পরিচালকরা হলেন যথাক্রমে মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ সাইফুদ্দিন জহুর, এ.টি.এম শাহজালাল, মোঃ নাঈম উদ্দিন জহুর প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, ১ট লাইসেন্সে ৩০০ হাজী নেয়া যায় কিন্তু শাহ আমানত হজ্ব কাফেলা বিভিন্ন লাইসেন্স ব্যবহার করে প্রায় ১৬০০ জন হাজী নিয়ে যায় । ফলে হাজীদের দুর্ভোগের শিকার হন ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাজীদের দুর্ভোগের বিষয়টি শিকার করে শাহ আমানত হজে কাফেলার এম. ডি মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, মক্কায় আমরা হাজিদের জন্য যে বাড়ী ভাড়া করেছি সে বাড়ির মালিকানা নিয়ে সে দেশের দুই ভাইযের বিরোধের কারণে বাড়ীটি সীলগালা করে দিয়েছে সৌদী কর্তৃপক্ষ। একারণে হঠাৎ এ সমস্যার কারণে আমাদের হাজীরা একটু দুর্ভোগে পড়েছেন। আমরা আবার একটি নতুন বাড়ী ভাড়া করে হাজীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি ইতোমধ্যে। হাজীদের এ দুর্ভোগের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এ একটি দুর্ঘটনা এতে আমাদের কারো হাত নেই।