‘‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে সুসম্পর্ক হলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায়’’

0
142

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, হালিশহর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ নারী শিক্ষার একটি বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের মানোন্নয়ন, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আন্তঃ সম্পর্ক ও সমন্বয় নিশ্চিত হলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায়। এতে প্রতিষ্ঠান স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নব অধিগ্রহণকৃত হালিশহর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। নগরীর হালিশহর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাশেম,এইচ এম সোহেল ও কলেজ অধ্যক্ষ আলম আকতার বক্তব্য রাখেন। এসময় কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক,আলহাজ্ব ছালেহ আহমদ চৌধুরী,রাজনীতিবিদ সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার,শেখ শফিউল আলম, লায়ন মো. ইলিয়াছ, কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য মনোয়ারা বেগম,মোবারেকা বেগম,সুলতানা নিগার রহমান,মোহাম্মদ আবু তৈয়ব মো. নুর আলম,শফি আলম,মো. ছালেহ নূর,আসিফ ও কামরুন নাহার সুমি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নগরীর হালিশহর বড়পোল এলাকায় গড়ে উঠা চট্টগ্রাম গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে কলেজটিকে চসিকের অধিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। পরবর্তীতে অধিভুক্তিকরণের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ক্রমে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই,২০১৬ সালের ৯ মে এবং ২৫ মে তারিখে শিক্ষা সচিবের বরাবরে চিঠি প্রেরণ করে চসিক। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ৯ জুলাই অধিভুক্তির আবেদন জানিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সংশ্লিষ্ঠদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং মন্ত্রীর বরাবরে একটি দাপ্তরিক পত্র দেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজটিকে চসিকের অধিভুক্তি প্রদান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিটি মেয়র বলেন নগরবাসীর শিক্ষা অধিকার নিশ্চিতকরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অসচ্ছল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণের মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষা খাতকে আয়মুখী খাতে পরিণত করার লক্ষ্যে এমপিও ভুক্তিকরণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। পূর্বে শিক্ষা খাতে ৪৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হত। এ বছর তা কমে প্রায় ২৯ কোটি টাকা হয়েছে। সমৃদ্ধ আলোকিত ও মূল্যবোধ সম্পন্ন বিশ্বমানের নাগরিক গড়ার কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, শিক্ষা আভিধানিক অর্থে মৌলিক অধিকার হলেও সুযোগ সুবিধার অভাবে পারে না। যারা নিজেদের অর্থ সম্পদ বিলিয়ে দিয়ে শিক্ষা সেবা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগ গ্রহন করেন তারাই প্রকৃতপক্ষে মহৎ ব্যক্তি। তিনি বলেন শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা।এর ফলে পুরো সমাজ উদ্ভাসিত হয়। মেয়র এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক বিষয় সম্পর্কে বলেন, প্রায় ২ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে খাদ্য ও পুষ্টি,রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বস্ত্র ও বয়ন শিল্প-এই ৩টি বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। তিনি শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুসারে প্রতিষ্ঠানে ইংরেজী,হিসাববিজ্ঞান বা অর্থনীতির মত বিষয়গুলোর উপর পাঠদান অনুমতি লাভের জন্য কার্যক্রম শুরুর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৪ জনের মধ্যে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ২২ জন। অবশিষ্ট ১২ জন নন এমপিও ভুক্ত।
এর আগে মেয়র দক্ষিণ আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় এডিপি’র অর্থায়নে ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নকৃত সড়কের উদ্বোধন করেন এবং দেশ জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।