শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংঘর্ষ

0
56

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক ও যুবলীগ নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কলাবাগান থানা শাখার সভাপতি ও একই থানার যুবলীগ সেক্রেটারি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কার্যালয়ের কর্মচারী বিপ্লবও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ৫ ও ১০ জানুয়ারিতে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে করণীয় নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ দলের ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে একটি যৌথসভা করে। ওই সভা শেষে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এক প্রেসব্রিফিং করেন। এর পরপরই দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের ভেতরেই নেতা ও কর্মচারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রেসব্রিফিং এর পর কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতিকে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন কর্মচারী বিপ্লব। কিন্তু তিনি বের না হয়ে কেন বের হতে হবে তার কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হন বিপ্লব। এসময় উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়েন তারা। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার পক্ষ নেন একই থানার যুবলীগ সেক্রেটারি। অপরদিকে বিপ্লবের পক্ষে অবস্থান নেন কার্যালয়ের অন্য কর্মচারীরা। এ সময় কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতিকে জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কর্মচারী বিপ্লব, কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও একই থানার যুবলীগ সেক্রেটারি আহত হন।

পরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা শামীম এর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ সময় দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের মধ্যে মারামরি করলে দলের ও শেখ হাসিনার ভাবমর্যাদা নষ্ট হবে। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেরা বিবাদ করলে কর্মসূচি বাস্তবায়ন কীভাবে করবো। ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সেজন্য সকলকে সতর্ক করেন আবদুস সোবহান গোলাপ।