শোক দিবসে কেক কাটায় খালেদার ছবিতে কালি

0
101

:: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ::

Anupam-জাতীয় শোক দিবসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন ও কেক কাটার প্রতিবাদে তার ছবিতে চুন-কালি লেপন ও থুথু নিক্ষেপ করেছে ‘অর্জনে-৭১’ নামে একটি সংগঠন। এছাড়া খালেদা জিয়ার জন্মদিনের প্রতিবাদে ‘গণঘৃণা স্বাক্ষর’ কর্মসূচিও পালন করে এ সংগঠনটি।

শুক্রবার বেলা ১১টায় জামালখানস্থ প্রেসক্লাবের সামনে অস্থায়ী ঘৃণা চত্বর নির্মাণ করে ‘গণঘৃণা স্বাক্ষর’ সংগ্রহ করে খালেদা জিয়ার ছবিতে চুন-কালি লেপন, কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, ‘জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জাতি যখন শোকে কাতর ঠিক ওইদিনেই মিথ্যা জন্মদিন পালনের নামে কেক কাটা আর উৎসব আয়োজন করে বেগম জিয়া। আমরা তরুণ প্রজন্ম এর প্রতিবাদে কিছু কর্মসূচির আয়োজন করেছি।’

অর্জন ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আকতার হোসেন সৌরভের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকজয়ী, সমাজবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার, উক্ত ঘৃণা চত্বরে প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, ‘কেক কেটে খালেদা জিয়া জন্মদিনের উৎসব পালন করেননি, তিনি বাঙালি জাতির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছেন। আর জাতির এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হলে বাংলার ছাত্র জনতাকে সোচ্চার হতে হবে। ঘৃণা প্রকাশের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দিতে হবে।’

প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি মহসিন চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মেজর জিয়ার ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক উত্থান। আর খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিনের কেক কেটে জিয়াউর রহমানের ৭৫-এর ঋণ শোধ করছে আজ।’

বিশেষ অতিথি রিয়াজ হায়দার বলেন, ‘যে নেতা না হলে একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হতো না। আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। সে নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম শাহাদাৎবার্ষিকীতে উৎসব করে বেগম জিয়া জন্মদিবস পালন করাকে ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাই।’

প্রধান বক্তা হাবিবুর রহমান তারেক বলেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দিনটিতে যেমন করে শোকাহত হবে, ঠিক তেমনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম খালেদা জিয়ার প্রতি ঘৃণা আর ঘৃণা প্রদর্শন করে যাবে।’

এতে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আলী রেজা খান পিন্টু, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন জুবায়ের বাপ্পী, সরোয়ার আলম, ফররুখ আহমেদ পাভেল, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সামদানি জনি, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ আনিসুর রহমান, শরিফুল আনাম জুয়েল, তোফায়েল আহমেদ মামুন, বসির আহমেদ, সালাউদ্দিন বাবু, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মো. সালাউদ্দিন, ফয়সাল আহমেদ, শওকত আলী, আনোয়ার হোসেন আবির, আনসারুল্লাহ সৌরভ, আলী আর খান মুরাদ, মো. ইকবাল, মো. খোরশেদ আলম, অর্জন ৭১ এর শফিকুল ইসলাম শাকিল, মো. এরশাদুর রহমান রিগ্যান, রাকিব হায়দার, নুরনবী সাহেদ, সাহাদাত হোসেন পারভেজ, জুবায়ের হিমু, সাহাদাত হোসেন হিরা, ইমাম হোসেন ইমন, অর্পণ চক্রবর্তী, আবদুল হাকিম ফয়সাল, আবু সাঈদ মুন্না, জাহেদুল ইসলাম, আহম্মদ হোসেন হিরু, দিদারুল আলম সুমন, বদরুল হক বেলাল, সাদমান শাহরিয়ার প্রমুখ।