সকলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নিবার্চন হতে হবে-খালেদা

0
120

বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নিবার্চন হতে হবে। সেখানে যারাই জিতবে, তারাই সরকার গঠন করবে। সেখানে বিভেদ থাকবে না। তিনি বলেন, সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করলেই আমরা দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবো। তখনই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি আমরা সন্মান দেখাতে পারবো, মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে লেক সোর হোটেলে ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে একথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বর্তমান সরকারকে ‘অনিবার্চিত’ অভিহিত করে তিনি বলেন, বতর্মান অগণতান্ত্রিক ও অনিবার্চিত সরকারের আমলে নারীরা প্রতিনিয়ত নিযার্তিত ও অত্যাচারিত হচ্ছে । জাতীয় সংসদে তারা অপমানিত হচ্ছে।

নারীদের ‘শো পিস’- সংসদে এইচএম এরশাদের এরকম বক্তব্যের সমালোচনা করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, স্বঘোষিত বিরোধী দল, তাদের নেতা। যার বউ হয়েছেন লীডার অব দ্য অপজিশন। বিনা নিবার্চনে লীডার অব দ্য হাউজ কিংবা বিরোধী দলীয় নেতা দু’জনই নারী। সেই সংসদে যদি বলা হয়, নারীর ‘শো পিস’। যেখানে জনসংখ্যার ৫০ ভাগ নারী রয়েছেন। যে সংসদে আমাদের মা-বোনদের এভাবে অসন্মান করা হয়। যে লোক নারীদের সন্মান দিতে জানে না, তাদের নিয়ে যারা দল করে, তারা কোনো দিনও মানুষকে সন্মান দিতে পারবে না, গণতন্ত্রও আনতে পারবে না। তারা কোনোদিন গণতন্ত্র আনেনি বরং হরণ করেছে।’’

সুষ্ঠু নিবার্চন সম্পর্কে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আজ সুষ্ঠু নিবার্চন প্রয়োজন। আমরা বলি না,মারামারি, খুনাখুনি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ক্ষমতায় যাবো, জিতবো। আমরা অমুক হবো, তমুক হবো। সেটা নয়।’
খালেদা
বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেন, ‘ ক্ষুদ্র-তুচ্ছ, ভুল-ভ্রান্তি ও ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, শ্রদ্ধা করে কেউ কখনো ছোট হয় না। আর হিংসা করে কেউ কখনো বড় হয় না। প্রেসিডেন্ট জিয়া বলতেন রাজনীতি করতে হলে হৃদয়টাকে বড় করতে হবে। তার এই বক্তব্য হউক রাজনীতির সংকট থেকে উত্তরণে মহামন্ত্র।আসুন আমরা আল্লাহ কাছে সাহায্য চাই। এই রোজায় একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও জনগনের মুক্তির পথে আহবান করি।’

বক্তব্যের শুরুতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার দেশ গঠনে যুগান্তকারী কর্মযজ্ঞের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব বি চৌধুরী।

বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে বিকল্পধারা‘র সভাপতি সা্বেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছাড়াও জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি‘র আ স ম আবদুর রব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিকল্পধারা‘র মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী। মুসলিম লীগের নুরুল হক মজুমদার, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি ফয়েজুল্লাহ, কল্যাণ পার্টির এমএম আমিনুর রহমান প্রমূখ নেতারা ছিলেন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে নরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, এবিএম আশরাফউদ্দিন নিজান, শিরিন সুলতানা, রাবেয়া সিরাজ, শামা ওবায়েদ, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ইফতারে অংশ নেন।

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহ, ব্যারিস্টার রুহিন ফারহানা ছাড়াও একজন বৃটিশ কুটনীতিকও ছিলেন ইফতারে।