সকলের সহযোগীতা ও আন্তরিকতাই ঘুরে দাঁড়াতে পারে কেপিএম

0
132

নজরুল ইসলাম লাভলু,কাপ্তাই

 সকলের সহযোগীতা ও আন্তরিকতাই বাঁচিয়ে রাখতে পারে কেপিএম’কে। গত বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান পারিবারিক সফরে এসে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলের বিভিন্ন প্লান্ট পরিদর্শন শেষে অতিথি ভবনে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জেলা-উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিবিএ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,  বছরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে যে পাঠ্যপুস্তুক তুলে দেওয়া হয়,তার সমস্ত কাগজ যদি কেপিএম থেকে নেওয়া সম্ভব হয়, তবে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জানানো হলে তিনি নিশ্চয় পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতিতে প্রভাব সৃষ্টিকারী এই প্রতিষ্ঠানকে বাচাঁতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। এজন্য  লাভ কম করে হলেও মিলের উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি। কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এমএমএ কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুসহ মিলের বিভাগীয় প্রধানগন।  . উল্লেখ্য, কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ ঐতিহ্যবাহী এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ কল কর্ণফুলী পেপার মিলের (কেপিএম)  কাগজ উৎপাদনের জন্য এক সময় প্রচুর পরিমাণে মুলি ও বাড়িয়াল বাঁশ সহ নানান প্রকার গাছের প্রয়োজন হতো। যা সংগ্রহ করা হতো রাঙামাটির বরকল, মাইনী, হরিণা, মাচালং, কাঁচালং সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে। ফলে পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতির বিপ্লবে সিংহভাগ ভূমিকা রাখতো প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় যে খাতা ব্যবহার হতো তার চাহিদার বেশির ভাগই মেটাতো প্রতিষ্ঠানটি।পাশাপাশি নানা প্রকার কাগজ উৎপন্ন করে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে যা এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ কলের খ্যাতি অর্জন করে।  . কিন্তু ২০০৮ সালের পর ক্রমাগত লোকসানের মুখে বাঁশ-গাছ সংগ্রহ করা কমিয়ে দিলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তার প্রভাব পড়ে সমগ্র পাবর্ত্যাঞ্চল জুড়ে। বেকার হয়ে পড়ে বিপুল সংখ্যক বাঁশ ব্যবসায়ী। শুরু হয় এ’অঞ্চলে ব্যবসায়  মন্দাভাব। কিন্তু বর্তমানে লোকসানের হার কমে আসলেও অর্থ সংকটের কারণে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কোন ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা প্রতিষ্ঠানটি।