সনি খুনের প্রধান আসামী মুকিসহ সন্ত্রাসীরা সক্রিয়

0
330

শফিউল আলম, রাউজান ঃ বুয়েট ছাত্রী সবেকুন্নাহার সনি খুনের মামলার প্রধান আসামী মোক্কামেল হায়াত খান মুকি সহ সন্ত্রাসীরা আতœগোপনে থেকে এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে । বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন্নাহার সনি হত্যাকান্ডের ১৫ বছর অতিবাহিত হলে ও হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মোক্কাশের হায়াত খান মুকিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ২০০২ সালের ৮ জুন ঢাকায় বুয়েটে টেন্ডারবাজীকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘষের ঘটনা সংগঠিত হয় । সংঘর্ষের ঘটনার সময়ে বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন্নাহার সনি গুলিবিদ্ব হয়ে নিহত হয় । বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন্নাহার সনি হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী মোক্কামেল হায়াত খান মুকিকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হয় । মামলার রায়ে সন্ত্রাসী মোক্কামেল হায়াত মুকি সহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতেদের মৃত্যুদন্ড প্রদান করে আদালত । বুয়েট ছাত্রী সনি হত্যাকান্ডের ১৫ ্বছর অতিবাহিত হলে ও সনি হত্যাকান্ডের মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী মোক্কাশের হায়াত খান মুকি আতœগোপনে চলে যায় । হত্যাকান্ডের ১৫ বছর অতিবাহিত হলে ও পুলিশ সন্ত্রাসী মোক্কামেল হায়াত খান মুকিকে গ্রেফতার করতে পারেনি । সন্ত্রাসী মোক্কামেল হায়ত খান মুকি রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত ইদ্রিস মিয়ার পুত্র । সন্ত্রাসী মোক্কামেল হায়াত খান মুকির ভগ্নিপতি রাউজানের হাজী পাড়া এলাকার বাসিন্দ্বা আনোয়ারুল ইসলাম রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগরে সহ সভাপতি পদে অধিষ্টিত হওয়ায় সন্ত্রাসী মোক্কামেল হায়াত খান মুকি পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে গত ১৫ বছর ধরে । রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক রাউজানে হত্যা, অপহরন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলার আসামী । গত ২০০৪ সালে রাউজানের হিংগলা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ বিপুল পরিমান অস্ত্র সহ তাকে গ্রেফতার করে । গ্রেফতারের পর রাউজান থানা পুলিশ জেল হাজতে প্রেরন করেন । রাউজানের হিংগলা ওয়ারা পুঞ্ঞা বৌদ্ব অনাথ আশ্রমের পরিচালক জ্ঞান জ্যেতি ভিক্ষু হত্যা মামলায় শীষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকম তার সহযোগী এলাইচ মাহমুদ, নুরুল ইসলাম, মনিক, জহুর মিয়া, পুতুল বড়–য়া, গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন আদালত । রাউজানের বহুল আলোচিত যুদ্বপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া সলাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহায়তায় উচ্চ আদালতে মামলার রায়ের বিরুদ্বে আপিল করে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক তার সহযোগী নুরুল ইসলাম, মনিক, জহুর মিয়া, পুতুল বড়–য়া, গিয়াস উদ্দিন মৃত্যুদন্ড থেকে খালাস পায় । শীষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকের অপর সহযোগী এলাইচ মাহমুদের মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখা হয় । বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে এলাইচ মাহমুদ আটক রয়েছে । শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক তার সহযোগী নুরুল ইসলাম, মনিক, জহুর মিয়া, জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আতর্œগোপনে চলে যায় । হত্যা মামলার মৃত্রুদন্ড প্রাপ্ত আসামী পুতুল বড়–য়া এখনো পলাতক রয়েছে । হত্যামামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর এক আসামী সন্ত্রাসী গিয়াসকে অপর এক সন্ত্রাসী পিটিয়ে হত্যা করে । শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ওমানে পাড়ী জমায়। তার সহযোগী জহুর মিয়া, সুরমা ফজল, নুরুল ইসলাম, মানিক, এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকের কয়েকজন আত্বিয় রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদে অধিষ্টিত হওয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকের সহযোগীরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালে ও তাদের এলাকার লোকজন সমিহ করে চলতে হচ্ছে ভয়ে । এলাকায় ঘুরে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিলুপ্ত হওয়া রাজনৈতিক দল এনডিপির চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ের এক নেতার আত্বিয় রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক পদে অধিষ্টিত। র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী জানে আলমের সহযোগী আলী আজম অশ্রু, নেজাম, আমিরের আত্বিয় রাউজান ডাবুয়া ইউনিয়নের যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদে অধিষ্টিত হওয়ায় সন্ত্রাসী আলী আজম অশ্রু, নেজাম, আমিরের বিরুদ্বে রাউজান থানায় একাধিক মামলা থাকলে ও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছেনা । গত ২০০২ সালে অপারশেন ক্লিন হার্ট চলাকালে যৌথবাহিনী রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম বাচাইয়্যাকে বিপুল পরিমান অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে । শীর্ষ সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম বাচাইয়্যা জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আতর্œগোপনে চট্টগ্রাম নগরীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে । শীর্ষ সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম বাচাইয়্যার সহযোগী সন্ত্রাসী দেলোয়ার ও এখতিয়ার উদ্দিন চুনইক্যা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাচ্যাইয়ার শ্যালক সন্ত্রাসী হারুনের বিরুদ্বে মামলা থাকলে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সহায়তায় এলাকায় ও চট্টগ্রাম নগরীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে একধিক সুত্র জানায় । রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী ফজল হক সৌদি আরবে আতœগোপনে থাকলে ও তার সহযোগী সন্ত্রাসী গিয়াস ও নাসিমের এক ভাই রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে অধিষ্টিত থাকায় তাদের বিরুদ্বে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা । রাউজানের বড়ঠাকুর পাড়া এলাকার সন্ত্রাসী জাহেদ এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশের সাথে হাত মিলিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী বজল, জুম্মইয়্যা, রমজান আলী, ফরিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের এক নেতার সাথে আতাত করে ঘুরে বেড়াচ্ছে । রাউজানের পুর্ব রাউজানের সন্ত্রাসী সাহালম সাহাইয়্যা, হলদিয়ার গর্জনিয়ার সন্ত্রাসী কলা কাদের, এয়াসিন নগরের জমির, দুলাল, উত্তর সর্তার শফি,পাহাড়তলী মহামুনির সন্ত্রাসী অজয় বড়–য়া তাদের নিজ নিজ এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে আতাত করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । রাউজানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে এসব সন্ত্রাসীরা একসময়ে রাউজানে হত্যা, অপহরন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল । এলাকার লোকজন তাদের নাম প্রকাশ না করার সর্ত্বে বলেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাউজানে কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী দেশ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমালে ও এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আত্বিয় স্বজনদেরকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে তাদের সহযোগীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । রাউজানে আতর্œগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন । রাউজান পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার সর্ত্বে জানান আতর্œগোপনে থাকা সন্ত্রাসীদের আত্বিয়রা যারা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদে অধিষ্টিত তারা তাদের আত্বিয় সন্ত্রাসীদের রক্ষার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে । এছাড়া ও জেলে আটক রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৮ মামলার আসামী ডাকাত আলম, শীর্ষ সন্ত্রাসী বিধান বড়–য়াকে জেল থেকে জামিনে মুক্ত করে এলাকায় সক্রিয় করার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে রাউজানের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা । রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ বলেন আমি রাউজান থানার ওসি হিসাবে যোগদান করার পর থেকে সন্ত্রাসী রইস্যা ডাকাত সহ অনেক সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অনেক অস্ত্র ও মদ উদ্বার করেছি । আতর্œ গোপনে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্বে পুলিশের কড়া নজরদারী রয়েছে ।