সন্তানদের প্রতি মাতা-পিতার ভালবাসা আল্লাহর কুদরতেরই একটি নিদর্শন

0
65

বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন বলেছেন, সন্তানদের প্রতি মাতা-পিতার ভালবাসা আল্লাহর কুদরতেরই একটি নিদর্শন। মাতা-পিতা আর তাদের সন্তানদের মধ্যকার উষ্ণ সম্পর্ক মানবীয় পরিমন্ডলে পরিচিত সম্পর্ক সম্পদের মধ্যে পবিত্র ও দৃঢ়, যে সম্পর্কের ভীত রচনা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তালা। তিনি আরো বলেন, সন্তানরা হচ্ছে মাতা-পিতার এক উষ্ণ মিলনের ফলশ্রুতি। মাতা-পিতার অন্তরে সন্তানদের জন্য যে ভালবাসা নিহীত থাকে তার প্রকৃত রূপ কি বা সীমারেখা কতটুকু সেটা কেউ উপলদ্ধি করতে পারবে না। সেই জন্য মহান আল্লাহ তালা সন্তানদেরকে মাতা পিতার সাথে সদাচরনের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ চট্টগ্রাম কদমতলী চৌরাস্তা চত্বরে বায়তুশ শরফ আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ কদমতলী শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিশাল ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব একথা বলেন। নগর বাইশ মহল্লা সরদার আলহাজ্ব আবদুশ শাকুর সওদাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন বায়তুশ শরফ মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী।
প্রধান বক্তা বলেন, মাদক ও জুয়া সামাজিক অনাচাররের মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর কোন ধর্মেই মাদক ও জুয়াকে বৈধতা দেয়নি। তিনি বলেন মাদক ও ব্যক্তি পরিবার ও সমাজ জীবনে অশান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি পারস্পরিক ঝগড়া বিবাদ থেকে শুরু করে হত্যাকান্ডের মত অনেক মারাত্মক অপরাধে জড়িয়ে ফেলে বিধায় ইসলাম মদ, জুয়া, হাউজি ও লটারীর মত অনাচার গুলোকে হারাম করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইসলাম হচ্ছে মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম একটি জীবন ব্যবস্থা। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু সর্ববিষয়ে স্পর্শ করেছে ইসলাম। তাই কেবল ইসলামই দিতে পারে মানুষের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি, আনন্দ ও সমৃদ্ধি। মাওলানা নূরী আরো বলেন, আজ সমাজ জীবনে ইসলামের শিক্ষা ও মুল্যবোধের চর্চা না থাকায় মাদক ও জুয়ার মত বিভিন্ন অনাচার ও অশ্লীলতা স্থান পেয়েছে। তিনি বলেন, সমাজে বিরাজমান অশ্লীলতার নানামুখী ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হলে ইসলামের আলোকিত ভূবনে ফিরে আসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ জোবাইর। আন্জুমনে ইত্তেহাদের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল করিম মিন্টু, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক, আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মাওলানা শিহাব উদ্দিনের পরিচালনায় আরো আলোচনা করেন, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাঈল, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব, মাওলানা মুহাম্মদ মুছা কাজেমী ও মাওলানা শায়ের আবদুশ শাকুর প্রমুখ। মিলাদ, মুনাজাত ও তাবারুক বিতরনের মধ্যদিয়ে মাহফিলে সমাপ্ত হয়।