সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে

0
105

নতুন পেঁয়াজের আমদানি ভালো থাকার পরও খুচরা বাজারে onion_পেঁয়াজ g_17228

পেঁয়াজের দাম বাড়লেও শীতকালীন সবজির দাম স্বাভাবিকই রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- মানভেদে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজের দাম ২৮ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ টাকায়। তবে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি বিদেশি পেঁয়াজের দামও ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বিদেশি পেঁয়াজ ২৩ টাকা থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮ টাকা থেকে ২৫ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে রসুনের দাম খুচরা বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। তবে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকায়।

যোগাযোগ করা হলে পেঁয়াজের দর সম্পর্কে শ্যামবাজারের বিনা ট্রেড সেন্টারের সত্তাধিকারী বিপুল কুমার সাহা বাংলামেইলকে জানান, নতুন পেঁয়াজের আমাদানি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের এখানে এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। আমদানি স্বাভাবিক থাকার পরও পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন তিনি।

মেসার্স একতা ইন্টারন্যাশনালের কামাল খান জানান, পেঁয়াজ-রসুন কোনোটির দামই আমাদের বাজারে বাড়েনি। দাম বাড়ার তো কোনো কারণ লাগবে। এখন দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না। তবে রসুনের দাম আগের চেয়ে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে।

এদিকে শান্তিনগর কাচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, নতুন পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়েছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুনেছি পেয়াজের দাম বাড়বে। তাই আমরা পাইকারী বাজারে বাড়ানোর আগেই বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২ থেকে ৩ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছি।’

কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে পেঁয়াজের দাম কেন বাড়বে জানতে চাইলে তারা কোনো কারণ জানাতে পারেননি।

এদিকে বাজারে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির লাল ডিমের পাইকারী দাম ২৯ টাকা, যা খুচরা বাজারে ৩২ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি সাদা ডিমের দাম ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা, যা খুচরা বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিমের দাম প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা থেকে ৩৭ টাকায়।

এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিকই রয়েছে। খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি সীমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে ৮ থেকে ১২ টাকায়, করলা ১৮ থেকে ২২ টাকায়, শশা ২০ থেকে ২৫ টাকায়, জলপাই ২০ থেকে ৩০ টাকায়, গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, পটল ২০ থেকে ২৫ টাকায়, ফুলকপি প্রতিটি ১০ থেকে ১৫ টাকায়, বাঁধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকায়, কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, মুলা ১০ থেকে ১২ টাকায়, বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকায়, ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, বরবটি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, মরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, লাউ (ছোট) ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ (বড়) ২০ থেকে ২৫ টাকায়, শালগম ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি পাইকারী বাজার থেকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৫ থেকে ১০ টাকা লাভে বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়া খুচরা বাজারে সবুজ শাক আঁটি ৫ টাকা, লাউ শাক ১০ টাকা, লাল শাক ৫ টাকা, মুলা শাক ৪ থেকে ৫ টাকা, পুঁইশাক ৫ থেকে ১০ টাকা, ডাটা ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি সাদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় এবং লাল মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ২৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহেও একই ছিল।

রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বেশ কয়েকটি বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, শীতকালীন পণ্যের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমান থাকায় পণ্যের দাম বাড়ছে না।

যাত্রাবাড়ী পাইকারী কাচাবাজার ব্যবসায়ী নেতা নরু হাজী বলেন, ‘প্রতিদিন আড়তে শীতকালীন প্রচুর সবজি আসে। রাজধানীর চাহিদার চেয়েও বেশি পণ্য আসছে। বর্তমানে শীতকালীন পণ্যের দাম বাড়ার কোনো সম্ভবনা নেই।’