সমাজ বিনির্মাণ ও দেশের উন্নয়নে নারীর ভূমিকা অপরিসীম

0
52

সমাজ বিনির্মাণ ও দেশের উন্নয়নে নারীর ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নারী ও পুরুষের সমন্বিত উদ্যোগে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মেয়র বলেন, নারীরা পুরুষের সমান তালে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছেন। আমাদের দেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকার সবাই নারী। ফলে নারীদের মর্যাদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬৭ বছর পূর্তি ও পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি পাহাড়তলী স্কুল অ্যান্ড কলেজকে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে গভর্নিং বডির সভায় প্রস্তাব এবং যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে চসিকের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রতিটি পরিবারে মায়ের প্রভাব অনেক বেশি। তাই চট্টগ্রাম নগরীকে নান্দনিক ও পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত করতে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬৭ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী কমিটির আহ্বায়ক আবিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সফর আলী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহমিদা আকতার চৌধুরী পান্না, লেডিস ক্লাবের সভাপতি ও পুনর্মিলনী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জিন্নাত আজম, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মোহাম্মদ আলী, মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ, জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নয়ন প্রমুখ।

ধন্যবাদ বক্তব্য দেন পুনর্মিলনী কমিটির সদস্যসচিব মেহের আফরোজ প্রিয়া। মেয়র, কাউন্সিলরসহ অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে ৬৭ বছর পূর্তি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। মোড়ক উন্মোচন করা হয় ‘স্মৃতি স্মারক’র।